২৭ জুলাই ২০২৪, শনিবার

‘অনিরাপদ’ উইকেট; বন্ধ বিগ ব্যাশের ম্যাচ!

- Advertisement -

বৃষ্টিতে ম্যাচ বন্ধ হওয়া, পরিত্যাক্ত হওয়ার ঘটনা ঘটে নিয়মিতই। ফ্লাডলাইটের আলো নিভে যাওয়ার কারণে খেলা বন্ধ হওয়ার ঘটনাও কম নেই। কখনো মাঠে দর্শক ঢুকে পড়েন, কখনো ব্যাটার-ফিল্ডারের ইনজুরিতে কিছু সময় খেলা বন্ধ থাকে। কিন্তু ক্রিকেট ইতিহাসে কখনো কি এমন হয়েছে, খেলা শুরুর ৭ ওভার পর ম্যাচ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, সেটাও উইকেটকে ‘অনিরাপদ’ ভাবার জন্য?

এমন ঘটনা আগে ঘটেছে কিনা গবেষণার ব্যাপার, যদি ঘটেও থাকে; খুব বেশিবার যে ঘটেনি, এটা নিশ্চিত। আর এই ঘটনা ঘটেছে রোববার, অস্ট্রেলিয়ার ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট বিগ ব্যাশ লিগে। পার্থ স্কর্চার্স ও মেলবোর্ন রেনেগেডসের ম্যাচে বোলারদের একেকটা বল একদম সামনে থেকে হুট করে লাফিয়ে উঠছিল, একেকটা বলকে মনে হচ্ছিল গোলা। ব্যাটারদের কাছে এই উইকেটকে একদমই ‘নিরাপদ’ মনে হয়নি। শেষমেশ ৬ ওভার ৫ বল মাঠে গড়ানোর পর ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। অনেক ইউনিক নিয়মের জন্য বিগ ব্যাশ আগে থেকেই বিখ্যাত, এই ঘটনা যেন ভিন্নতায় নতুন মাত্রা দিল।

কয়েন টসের বদলে বিগ ব্যাশে হয় ব্যাট ফ্লিপ, আগের রাতে বৃষ্টি হওয়ায় এবং উইকেট লম্বা সময় কাভারে ঢাকা থাকায় স্বাভাবিকভাবেই সেই ব্যাট ফ্লিপে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় মেলবোর্ন রেনেগেডস। ৪ ওভারের পাওয়ার প্লেতে পার্থ স্কর্চার্স তোলে মোটে ১৩ রান, ১ উইকেট হারিয়ে। অর্থাৎ শুরুতেই বোঝা যায়, উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য একদমই সুবিধার ছিল না। খেলা যখন বন্ধ হয় ৬ ওভার ৫ বলে স্কর্চার্সের রান তখন ২ উইকেট হারিয়ে ৩০। কিন্তু উইকেট ঠিক কতখানি কঠিন ছিল?

রিকি পন্টিংয়ের মতে এই উইকেট “ডেঞ্জারাস”! কদিন আগে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি করা জশ ইংলিশের কাছে এই উইকেটে ম্যাচ খেলা মানে “তামাশা”! এই প্রশ্নের আরো একটু উত্তর বা ধারণা পাওয়া যায় অ্যাস্টন টার্নারের কথা শুনলে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১৯টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা পার্থের এই ব্যাটার বলেন, “আম্পায়াররা অনেক কঠিন কিন্তু সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ভাগ্যিস কেউ আঘাত পায়নি”

টার্নার যেখানে কেউ আঘাতপ্রাপ্ত না হওয়ায় খুশি, সেখানে অ্যারন হার্ডি খেলেছেন ২৩ বলে অপরাজিত ২০ রানের ইনিংস। অন্য যেকোনো দিনে এই ইনিংস হতো নিন্দিত, এই ম্যাচে হচ্ছে প্রশংসিত। অনেকের মতেই এমন উইকেটে এই ইনিংস নাকি ছিল মাস্টারক্লাস!

 

মেলবোর্ন রেনেগেডসের হয়ে প্রথমবারের মতো বিগ ব্যাশ খেলতে মাঠে নামেন কুইন্টন ডি কক। ম্যাচের কিছুক্ষণ আগে ম্যাচ ভেন্যু গিলংয়ে পৌঁছান কক। ককের ভাগ্যই খারাপ বলতে হয়! কেননা এই ম্যাচ পরই দেশে ফিরে যাচ্ছেন সাউথ আফ্রিকান উইকেট কিপার ব্যাটার, ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য। সেখানে ব্যাটিং তো করতে পারলেনই না, উল্টো একটা ক্যাচ ফেললেন। সবমিলিয়ে ককের বিগ ব্যাশ ডেব্যু একদম স্মরণীয় হয়ে থাকলো, তবে সেটা অন্য অর্থে।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img