২৭ জুলাই ২০২৪, শনিবার

অপ্রতিরোধ্য পাকিস্তান!

- Advertisement -

টানা দুই জয়ে বিশ্বকাপে উড়ন্ত সূচনা পাকিস্তানের। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মেন ইন গ্রিনরা নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছে পাঁচ উইকেটে। বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকেই পাকিস্তান দলের খেলোয়াড়েরা বিভিন্ন সময়েই বলে এসেছেন আরব আমিরাতের মাঠ তাদের ঘরের মাঠের মতো। সেটাই যেন প্রমাণ করে চলেছেন মেন ইন গ্রিনরা।

জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৩৫; নিজের খেলা প্রথম বলেই মিচেল স্যান্টনারকে কাভারের উপর দিয়ে চার বাবর আজমের। ভারতের বিপক্ষে যেখান থেকে শেষ করেছিলেন, সেখান থেকেই যেন করলেন শুরু। কিন্তু, কিউইদের বিপক্ষে জয়টা যে সহজেই আসবে না, সেটা নিশ্চয়ই জানে পাকিস্তান দলও। সময়ের সাথে সাথে হয়েছেও তাই; দুর্দান্ত বোলিং এবং ফিল্ডিংয়ে বাবর-মোহাম্মদ রিজওয়ানের ওপর চাপ দারুণভাবেই তৈরী করেছে কিউইরা।

যেখান থেকে শেষ করেছিলেন সেখান থেকেই শুরু বাবরের

পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে টিম সাউদির উইকেট সংখ্যা ছিল ৯৯টি। একশ পূর্ণ হতে প্রয়োজন ছিল শুধুমাত্র একটি উইকেটের। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে বল করতে এসে প্রথম বলেই বাবরকে বোল্ড করে টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের দ্বিতীয় পেসার হিসেবে উইকেটের শতক পূর্ণ করেছেন কিউই পেসার।  ছয় ওভার শেষে এক উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৩০ রান। তিন ওভারে ১২ রান দিয়ে ১ উইকেট সাউদির।

সাউদির শততম উইকেট

নবম ওভারে প্রথমবারের মতো বল হাতে ইশ সোধি; তৃতীয় বলে হাঁটু গেড়ে যেই ছক্কাটা মারলেন ফখর জামান, সেটা যেন চাপটাকে ঝেড়ে ফেলারই বহিঃপ্রকাশ মেন ইন গ্রিনদের। চাপ ছিল কতটা, সেটা বোঝানোর জন্য একটা তথ্যই যথেষ্ঠ। ছক্কা হাঁকানোর আগে ফখর চার রান করতেই খেলেছিলেন চৌদ্দ বল; ওভারের শেষ বলে পড়েছেন শোধির এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে। নতুন বাটসম্যান হিসেবে মাঠে এসে শুরুটাই ছক্কা দিয়ে করলেন মোহাম্মদ হাফিজ।

সোধির বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে রিজওয়ান

শেষ দশ ওভারে পাকিস্তানের জয়ের জন্য প্রয়োজন ৭৭ রান, হাতে আট উইকেট। ম্যাচে তখনও খুব ভালোমতোই টিকে ছিল মেন ইন গ্রিনরা। কিন্তু, হঠাৎ করেই ছন্দপতন। টানা দুই ওভারে প্যাভিলিয়নের পথে হাফিজ-রিজওয়ান। স্যান্টনারের বলে লং অফে ডেভন কনওয়ের দুর্দান্ত ক্যাচে আউট হাফিজ, সোধির গুগলিতে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ৩৪ বলে ৩৩ রান করা রিজওয়ান। ৬ বলে ১১ রান করেছেন হাফিজ। ইমাদ ওয়াসিম-শোয়েব মালিকের ব্যাটে যখন প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টায় পাকিস্তান, তখন ট্রেন্ট বোল্টের বলে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেছেন ইমাদও।

৩০ বলে জয়ের জন্য প্রয়োজন ৪৪ রান; প্রয়োজন একটা বড় রানের ওভারের। দায়িত্বটা নিজের কাঁধেই তুলে নিলেন আসিফ আলি। সাউদিকে দুই বলে দুই ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে ফেরালেন খেলায়। এরপর বাকি কাজটা করেছেন শোয়েব মালিক; আসিফের সাথে ৪৮ রানের জুটিতে দলকে এনে দিয়েছেন ৫ উইকেটের জয়। মালিক অপরাজিত ২৬ রানে এবং আসিফ অপরাজিত ছিলেন ২৭ রানে। ২৯ রানে দুই উইকেট নিয়েছেন ইশ সোধি।

 

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img