বয়সটা ৩৯ পেরিয়েছে; কিন্তু এখনো কমেনি বোলিংয়ে ধাঁরটা। যেই বয়সে সবাই অবসরে গিয়ে কোচিং কিংবা কমেন্ট্রিতে মনোযোগ দেয়ার কথা ভাবে, সেই বয়সেই দাঁপটের সাথে খেলে যাচ্ছেন জেমস অ্যান্ডারসন। বয়সটা ৩৯ বলেই কি না তার অবসর নিয়ে নানান গুঞ্জন। খেলে ফেলেছেন ১৬৬টি টেস্ট, কোথায় গিয়ে থামবেন তা ভাবেননি এখনো। ৬৩২টি উইকেট নিয়ে টেস্ট ইতিহাসে পেসারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি বোলার হিসেবে পরিণত করেছেন নিজেকে; ধাঁরের কাছেও নেই সমসাময়িক কেউই। অবসর নিয়ে যে এখনই ভাবছেননা, সেটা স্পষ্ট অ্যান্ডারসনের ভবিষ্যত পরিকল্পনাতেই।
“আমি এখনো খেলাটা এবং বর্তমান সময়ের সেরা বোলারদের সাথে চ্যালেঞ্জটা উপভোগ করছি। আমি যদি বর্তমান সময়ের সেরা সব বোলারদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারি, তাহলে আমার মনে হয় আমার এখনো ভাল কিছু করার সামর্থ্য আছে। সত্যি বলতে আমি আরো একটা মৌসুম না খেলার কোনো কারণ দেখছি না”- দ্য টেলিগ্রাফের কলামে লিখেছেন অ্যান্ডারসন
সামনেই অ্যাশেজ সিরিজ। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার করোনা নিয়ে কঠোর আইন এবং করোনা মহামারি দুই কারণেই দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। খেলোয়াড়রা পরিবার নিয়ে যেতে পারবে কি না সে বিষয়ে যতোক্ষণ না ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া থেকে নির্দিষ্ট করে জানানো হচ্ছে, ততোক্ষণ কারা অ্যাশেজে যাচ্ছেন বলা মুশকিল। কিন্তু আগামী অ্যাশেজেও যে অ্যান্ডারসন খেলছেন সেটা নিশ্চিত করেছেন নিজেই।
“আমি অ্যাশেজে যাচ্ছি। আমার পরিবার আমার সাথে যাবেনা, কারণ সেই সময়ে আমার সন্তানের পরীক্ষা রয়েছে। তাছাড়া, ১৪ দিন কোয়ারনেন্টাইনে থাকাটাও চ্যালেঞ্জিং। আমি যেহেতু শুধু একটা ফরম্যাটেই খেলি, তাই আমার জন্য প্রতিকূল পরিস্থিতিগুলোতে মানিয়ে নেয়াটা বাকিদের তুলনায় কিছুটা সহজ। যারা তিন ফরম্যাটেই খেলে যাচ্ছে, তাদের জন্য অ্যাশেজে খেলতে যাওয়াটা কঠিনই বটে”- অ্যাশেজ প্রসঙ্গে অ্যান্ডারসন
টেস্ট ইতাহাসের সেরা পেসারের কথায় স্পষ্ট তিনি যে অবসর নিয়ে ভাবছেননা এখনিই। এই বয়সেও এভাবে দাপটের সাথে খেলে যাওয়া অ্যান্ডারসন যে ইতাহাসের পাতায় বেঁচে থাকবেন চিরদিন সেটা বলাই যায়।