প্রথম দশ বলেই নেই তিন উইকেট; একে একে ফিরে গেছেন কুশল পেরেরা, দীনেশ চান্ডিমাল এবং আভিশকা ফার্নান্দো। টপঅর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বিপাকে শ্রীলঙ্কা। সেখান থেকেই দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের শুরু পাথুম নিশানকা-ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারটাতে সর্বশেষ চার বলে সিমি সিংকে হাসারাঙ্গার চার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে শুরু; তারপর দুজনেই তুলে নিয়েছেন অর্ধশতক। চতুর্থ উইকেট জুটিতে যোগ করেছেন ১২৩ রান।
দুজনে যেভাবে ব্যাটিং করছিলেন তাতে একটা সময়ে মনে হচ্ছিল ভেঙ্গে দেবেন ২০১০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে করা মাহেলা জয়াবর্ধনে-কুমার সাঙ্গাকারার ১৬৬ রানের জুটির রেকর্ডটাও। মার্ক অ্যাডেইরের স্লোয়ার বলটাতে হাসারাঙ্গা ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ তুলে না দিলে, জুটিটা বড় হতে পারত আরও। প্যাভিলিয়নে ফিরার আগে হাসারাঙ্গার ব্যাট থেকে এসেছে ৭১ রান।
হাসারাঙ্গা ফিরে গেলেও শ্রীলঙ্কার ইনিংসটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজটা ভালোভাবেই করছিলেন নিশানকা। একপ্রান্ত থেকে উইকেটের পতন হতে থাকলেও লঙ্কান ওপেনার খেলে যাচ্ছিলেন স্বাচ্ছন্দ্যেই। কিন্তু ব্যক্তিগত ৬১ রানেই লিটলের বলে উইকেট কিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন তিনিও। মাত্র আট রানেই তিন উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কা নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে তুলেছে ১৭১ রান। শেষদিকে ১১ বলে ২১* রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন অধিনায়ক দাসুন শানাকা। আইরিশদের হয়ে জশ লিটল নিয়েছেন ২৩ রানে ৪টি উইকেট।