১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, শুক্রবার

অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে আমরা ‘এখনও শিখছি’: ডাভিড মালান

- Advertisement -

শিরোনামের এই কথাটি বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে বেশ পরিচিতই হওয়ার কথা। সাধারণতঃ কোন বড় দলের কাছে হেরে আসার পর প্রেস কনফারেন্সে বাংলাদেশের অধিনায়ক বা খেলোয়াড়দেরই কাঁচুমাচু হয়ে এই কথাগুলি বলতে শোনা যায়।

তবে এবার এই কথাটি বের হলো ডাভিড মালানের মুখ দিয়ে। অ্যাশেজে টানা দুটি টেস্ট হারার পর অজুহাতের ঝাঁপি খুলে বসেছেন ইংলিশ এই ব্যাটার। মালান মূলত আঙ্গুল তুলছেন দলের ‘অভিজ্ঞতার অভাবের’ দিকে।

“অনেক খেলোয়াড়ই আগে কখনো অস্ট্রেলিয়ায় খেলেনি, এই বোলারদের মুখোমুখি কখনো হয়নি। তারা এখনো বলা যায় অস্ট্রেলিয়ায় কিভাবে খেলতে হয় সেই ‘শিক্ষাসফরে’ আছে, কিভাবে তাদের খেলতে হয়, কিভাবে অ্যাডিলেড ও ব্রিসবেনের বাউন্স সামলাতে হয়।”– বলেছেন মালান

” এখানকার কন্ডিশন ইংল্যান্ডের চেয়ে অনেক আলাদা। উইকেট অনেক বেশি স্কিড করে, তাই বল ছেড়ে দিলেও দেখা যাচ্ছে আমরা বোল্ড বা এলবিডাব্লিউ হয়ে যাচ্ছি।”

অস্ট্রেলিয়ান কন্ডিশনকে ‘নিষ্ঠুর’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন মালান।

“খুবই নিষ্ঠুর একটা ব্যাপার যে আপনাকে এই কন্ডিশনে নিজেদের সেরাটা দিয়ে দিতে হবে জেতার জন্য। আমরা সেটাই পারছিনা।”

অবশ্য অস্ট্রেলিয়ায় ইংল্যান্ড সেই ২০১১র পর আর টেস্টই জেতেনি। এই অ্যাশেজেও নতুনদের চেয়ে স্টোকস, বাটলার বা রুটের মতো পুরনো অস্ট্রেলিয়ায় বহুম্যাচের অভিজ্ঞদের ব্যর্থতাই যে ইংল্যান্ডকে বেশি পোড়াচ্ছে তা বলাই বাহুল্য। তো ইংল্যান্ডের এই ‘শিক্ষা নেওয়া’টা ঠিক কতোদিন ধরে চলমান ও সামনেও কতোদিন ধরে চলবে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলাই যায়।

তৃতীয় টেস্ট মেলবোর্নে ২৬ তারিখ থেকে শুরু, ক্রিসমাসের পর বলে এই টেস্টকে ‘বক্সিং ডে’ টেস্ট বলা হয়। অ্যাশেজ জেতার সামান্যতম আশা বাঁচিয়ে রাখতেও এই ম্যাচে জয় ছাড়া বিকল্প নেই ইংল্যান্ডের। তাইতো এই টেস্টে চারটি বড় পরিবর্তন আনতে পারে ইংলিশ টিম ম্যানেজমেন্ট।

রোরি বার্নস ও অলি পোপের জায়গায় জ্যাক ক্রলি ও জনি বেয়ারস্টো আবার ফিরতে পারেন। মার্ক উড একাদশে প্রবেশ করতে পারেন, ফিরতে পারেন স্পিনার জ্যাক লিচও।

 

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img