২ ডিসেম্বর ২০২৪, সোমবার

অ্যান্ডারসন বন্দনায় কুম্বলে-কাইফ

- Advertisement -

ইংল্যান্ডের সর্বকালের সেরা বোলার জেমস অ্যান্ডারসনের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে যোগ হলো আরও একটি অনন্য অর্জন। ৩৯ বছর বয়সী এই পেসার শুক্রবার ভারতের সাথে চলমান টেস্টে অনিল কুম্বলেকে ছাড়িয়ে হয়েছেন টেস্ট ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। টেস্টে কুম্বলের উইকেট সংখ্যা ৬১৯টি, চলমান টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৪টি উইকেট পাওয়ার পর এখন অ্যান্ডারসনের উইকেট সংখ্যা ৬২১। টুইট করে উইকেটশিকারির তালিকায় সদ্য তৃতীয় হওয়া অ্যান্ডারসনকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কুম্বলে।

কোহলিকে ফিরিয়ে ছুয়েছেন কুম্বলের ৬১৯ উইকেটের রেকর্ড

নটিংহ্যামে টেস্টের তৃতীয় দিনে ভারতের ইনিংসের ৬৯তম ওভারে কেএল রাহুলকে ফিরানোর মধ্য দিয়ে এই অনন্য অর্জনে জায়গা করে নেন অ্যান্ডারসন। কেএল রাহুল ততোক্ষনে ইংলিশদের মাথা ব্যাথার কারণে পরিণত হয়েছেন।, যেখানে অন্য ব্যাটসম্যানরা পিচে থিতু হতে হিমসিম খাচ্ছিলেন, সেখানেই রাহুল দুর্দান্ত। অ্যান্ডারসনের গুড লেংথে পরে বাঁক খাওয়া বলটাতে উইকেটরক্ষক জস বাটলারের হাতে যখন ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরছেন রাহুল, তখন তার নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ৮৪ রান। এর আগে দ্বিতীয় দিনে অ্যান্ডারসন তার দুর্দান্ত স্পেলে টানা দুই বলে ফিরিয়েছেন বিরাট কোহলি এবং চেতেশ্বর পুজারাকেও।

৬২০তম উইকেটটি এসেছে কেএল রাহুলকে ফিরিয়ে

অ্যান্ডারসনের সামনে এখন শুধু শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি স্পিনার মুত্তিয়া মুরালিধরন এবং অস্ট্রেলিয়ান লেগ স্পিনার শেন ওয়ার্ন। মুরালির সংগ্রহ ৮০০ উইকেট, ওয়ার্নের ৭০৮টি। টেস্ট ইতিহাসে ৬০০+ উইকেট পাওয়া একমাত্র পেস বোলার অ্যান্ডারসন।

কুম্বলে, যাকে পেছনে ফেলে এই অর্জন অ্যান্ডারসনের, তিনি ইংলিশ এই পেসারকে শুভেচ্ছা জানাতে ভুলেননি। সাবেক ভারতীয় লেগ স্পিনার শুভেচ্ছা বানানোর জন্য টুইটারকেই বেছে নিয়েছেন এব্ং অ্যান্ডারসনকে সম্বোন্ধন করেছেন খেলাটার ‘লিজেন্ড’ বলে।

বয়স ৪০ ছুইছুই, খেলে ফেলেছেন ১৬৩টি টেস্ট। অবসর নিয়েও আছে নানান গুঞ্জন। কিন্তু সব গুঞ্জনকে উড়িয়ে দিয়ে দাপটের সাথে যেভাবে খেলে যাচ্ছেন এখনও, তাতেই মুগ্ধ মোহাম্মদ কাইফ। তিনিও টুইট করেছেন অ্যান্ডারসনকে নিয়ে।

বয়স ৩৯ পেরিয়েছে, এখনও খেলে যাচ্ছেন দাপটের সাথেই। ২০০২এ ওয়ানডেতে অভিষেক, শেষ ওয়ানডে খেলেছেন ছয় বছর আগে, ২০১৫তে। টি-টোয়েন্টির শেষ ম্যাচটিতো খেলেছেন আরও আগে, ২০০৯এ। এখনও খেলে যাচ্ছেন শুধুমাত্র এই টেস্টটাই। শেষ অব্দি কোথায় গিয়ে থামবেন তিনি সেটা কেউ না জানলেও, টেস্ট ক্রিকেটে তার নাম যে বহু যুগ লিখা থাকবে স্বর্ণাক্ষরে সেটা বলাই যায়।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img