পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি এবং তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে জিম্বাবুয়ে এখন আয়ারল্যান্ডে। ২৭ আগষ্ট থেকে টি-টোয়েন্টি দিয়ে শুরু হবে সিরিজ। এই সিরিজ দিয়েই দলে ফেরা শেন উইলিয়ামস জিম্বাবুয়ে টিম ম্যানেজম্যান্টকে জানিয়েছেন, আয়ারল্যান্ড সফরের পর তিনি অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্রিকেট থেকে সড়ে থাকতে চান। তবে, ভবিষ্যতে জিম্বাবুয়ের হয়ে সাদা বলের ক্রিকেটে ফিরার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি তিনি।
এই মুহূর্তে জিম্বাবুয়ে টেস্ট অধিনায়ক উইলিয়ামস আয়ারল্যান্ডে জাতীয় দলের সঙ্গে আছেন। তিনি নির্বাচকদের অনুরোধ করেছেন শুক্রবার থেকে শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজে তাকে যেন বিবেচনায় না রাখা হয়; এমনকি স্কটল্যান্ডের সাথে আগামীর মাসের টি-টোয়েন্টি সিরিজেও থাকতে চাননা উইলিয়ামস। কিন্তু, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে খেলবেন তিনি। ৮ সেপ্টেম্বর শুরু হবে ওয়ানডে সিরিজ। উইলিয়ামস এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার পেছনে সবচেয়ে প্রধান কারণ বায়োবাবলের ক্লান্তি এবং ভবিষ্যত নিয়ে তার অনিশ্চয়তা বলে উল্লেখ করেছে ইএসপিএনক্রিকইনফো।
২০২০ সালের পর জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ডকে ৫জন অধিনায়ক বেছে নিতে হয়েছে। গত কয়েক সিরিজে চামু চিভাবা, ব্রেন্ডন টেইলর, সিকান্দার রাজা এবং উইলিয়ামসের পর আয়ারল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ড সিরিজে দলের নেতৃত্বের দায়িত্বে থাকবেন ক্রেগ আরভিন। বারবার অধিনায়ক বদল কিংবা উইলিয়ামসকে নেতৃত্ব না দেয়ার কারণে তিনি অসন্তুষ্ট নন; জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট যেভাবে এগোচ্ছে কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই, এতেই সমস্যা উইলিয়ামসের। কোচ লালচাঁদ রাজপুতের অধীনে জিম্বাবুয়ে তিন বছরে মাত্র চারটি ওয়ানডে ম্যাচ জিতেছে, সবগুলোই আবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে। দলের সিনিয়র খেলোয়াড়দের মধ্যে গুরুতর উদ্বেগ রয়েছে যে, এভাবে চললে তারা ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে পারবেনা। এমনটাই জানিয়েছে ইএসপিএনক্রিকইনফো। জিম্বাবুয়ে বর্তমানে বিশ্বকাপ সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলের তলানীতে রয়েছে।
৩৪ বছর বয়সী উইলিয়ামস জিম্বাবুয়ে দলের একজন অভিজ্ঞ সদস্য। ২০০৫ সালে জোহানেসবার্গে সাউথ আফিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে অভিষেক; খেলেছেন ১৪টি টেস্ট, ১৩৬টি ওয়ানডে এবং ৪৭টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি। জিম্বাবুয়ের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান উইলিয়ামস ১৪ টেস্টে ৪১.৩৬ গড়ে রান করেছেন ১০৩৪, ১৩৬টি ওয়ানডেতে করেছেন ৩৫.০২ গড়ে ৩৯৫৮ রান। টি-টোয়েন্টিতেও খুবেকটা পিছিয়ে নেই; ২২.৫০ গড়ে ৪৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে তার সংগ্রহ ৯৪৫ রান। ওয়ানডে এবং টেস্টে নামের পাশে আছে ৪টি করে শতক। বল হাতেও রেখেছেন দলে অবদান। টেস্ট, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টিতে লাভ করেছেন যথাক্রমে ২১, ৭২ এবং ৩২টি উইকেট।
জিম্বাবুয়ের টেস্ট দলের নেতৃত্ব উইলিয়ামসের কাঁধে; অধিনায়ক হিসেবে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত সময় পার করেছেন উইলিয়ামস। টেস্টের চারটি সেঞ্চুরীর তিনটিই এসেছে অধিনায়ক থাকাকালীন। যার মধ্যে সর্বোচ্চ ১৫১* রানের ইনিংসটিও আছে, যেটা হতে পারে তার শেষ টেস্ট ম্যাচ। অধিনায়ক থাকাকালীন উইলিয়ামসের ব্যাটিং গড় ছিল ৯৬.২০।