শেষ উইকেটটা নিয়ে দু’হাত তুলে রশিদ খানের উদযাপন, স্রষ্টাই স্মরণ করলেন কি? মাঠে মুজিব-নবীদের উল্লাস, ডাগ আউটে জস বাটলারদের কান্নাভেজা চোখ। দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলেই জিতেছে আফগানিস্তান। প্রথমবার ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডকে হারানো, সেটাও আবার বিশ্বকাপে! ইংলিশদের রীতিমতো দুমড়ে-মুচড়ে দিয়ে ৬৯ রানে ম্যাচটা জিতে নেবে আফগানরা এটাও কি কেউ কল্পনা করেছিল ম্যাচের আগে!
‘ঝড়ে-বকে’ নয়, বরং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আফগানিস্তান ম্যাচ জিতেছে দাপটের সাথে। প্রথম ইনিংসে ইব্রাহিম জাদরান-রহমানুল্লাহ গুরবাজের ১১৪ রানের ওপেনিং জুটি, শেষমেশ ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ২৮৪ রান; সবটাই যে ছিল আফগানদের জয়ের সাহস জোগানোর রসদ।
এরপর বোলিংয়ে নেমে রশিদ খান-ফজল হক ফারুকি-মুজিব উর রহমানদের নজরকাড়া পারফর্ম্যান্স। রানের চাপেই হোক কিংবা আফগানদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের কারণে, শুরুর ১৮ ওভারেই ১০০ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো ধুঁকেছে জস বাটলারের দল। শেষ ভরসা হ্যারি ব্রুকও যখন ৬১ বলে ৬৬ রানে ফিরে গেলেন, ততক্ষণে ইংলিশদের জয়ের আশা শেষ। ইংল্যান্ড থেমেছে ২১৫ রানে। তিন উইকেট তুলে নিয়েছেন মুজিব-উর-রহমান এবং রশিদ খান, দুই উইকেট মোহাম্মদ নবীর।
ম্যাচ শেষে একে অপরকে জড়িয়ে ধরেছেন প্রত্যেকে, চোখ ছলছল হয়েছে রশিদ-নবীদের। স্টেডিয়ামে উপস্থিত ভক্তরা মেতেছে আনন্দে। আফগানিস্তানের জয়ের পর এমন উৎসবমাখা মুহুর্তগুলো তো চোখের দেখার জন্যও প্রশান্তির। পুরো আফগানিস্তান জুড়েই হয়তো আজ সকলের উল্লাসে মেতে ওঠার কথা। ক্রিকেটটাই যে এক সুতোয় বেঁধে রেখেছে আফগানদের; সুখ বলতেও তো বাকি ঐ ক্রিকেটটাই!