‘টাইমড আউট’ হওয়ার পর থেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। মাঠের বাইরে এসে হেলমেট ছুঁড়ে ফেলেছেন, ফিল্ডিংয়ের সময়ও রুদ্রমুর্তি ধারণ করেছিলেন শ্রীলঙ্কার তারকা অলরাউন্ডার। এমনকি ম্যাচ শেষেও বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের সাথে হাত মেলায়নি লঙ্কান ক্রিকেটাররা। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলেন টাইগার ক্রিকেটারদের সমালোচনা তো করেছেনই সেই সাথে এমন আউটের পেছনে আম্পায়ারদের দিকেও আঙ্গুল তুলেছেন ম্যাথিউস।
ম্যাচশেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, “আম্পায়াররা (মারাইস ইরাসমাস ও রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ) মেনে নিয়েছেন যে এখানে সরঞ্জামের ত্রুটি ঘটেছিল। তারা ওপরের (তৃতীয় আম্পায়ার) সাহায্য নিতে পারতেন এবং যাচাই করতে পারতেন”
প্রথম ইনিংস শেষে তৃতীয় আম্পায়ার আদ্রিয়ান হোল্ডস্টক জানান, ম্যাথিউসের হেলমেটের সমস্যা হওয়ার আগে দুই মিনিট শেষ হয়ে গিয়েছিল। এরপর বাংলাদেশ আউটের আবেদন জানায় কিন্তু ম্যাথিউসের দাবি, পাঁচ সেকেন্ড সময় বাকি ছিল। সেই প্রমাণও নাকি তার কাছে আছে বলে জানান ম্যাথিউস।
তিনি বলেন, “হেলমেট ভেঙে যাওয়ার পরও আমার পাঁচ সেকেন্ড সময় বাকি ছিল। আমি হেলমেট দেখিয়েছিও। কিন্তু আম্পায়ার বললেন, প্রতিপক্ষ আউটের আবেদন করেছে। এই সিদ্ধান্তের কাণ্ডজ্ঞান নিয়ে আমার প্রশ্ন আছে। তখন পর্যন্ত আমার দুই মিনিট সময়ই তো পার হয়নি। আমার কাছে ভিডিও প্রমাণ আছে”
আম্পায়ারদের পুরো পরিস্থিতি ভালোভাবে পর্যালোচনা করা উচিত ছিল এবং সেই সাথে প্রযুক্তির সাহায্যও নিতে পারতো বলে মনে করেন শ্রীলঙ্কান তারকা।
“আম্পায়াররা আমাদের কোচদের বলেছেন, পুরো পরিস্থিতি তাদের এভাবে পর্যালোচনা করা উচিত ছিল। ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর এটা নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার কোনো মানে হয় না। প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল। আম্পায়াররা সহজেই সময়ের পার্থক্য বের করতে পারতেন”– ম্যাথিউস
এই আউট নিয়ে পুরো ক্রিকেট বিশ্বে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। কেউ সাকিব আল হাসানদের বিপক্ষে কথা বলছেন তো কেউ পক্ষে কথা বলছেন।