ব্যাট হাতে আরো একবার জ্বলে উঠতে ব্যর্থ হয়েছেন সাকিব আল হাসান। হারারেতে বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ের একমাত্র টেষ্টে মাত্র ৩ রান করে আউট হন সাকিব আল হাসান। সাকিবের মতোই ব্যর্থ বাংলাদেশ। চা বিরতিতে যাওয়ার আগে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রান। দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশ যোগ করেছে ৯৭ রান, উইকেট হারিয়েছে ৩টি। ২৬ রান করে অপরাজিত আছেন লিটন দাশ, তার সঙ্গী ১৪ রান করা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
#OneOffTest | Day 1 | TEA ? : ?? now 1⃣6⃣7⃣-6⃣ after 49 overs
(Das 26*, Mahmudullah 14*)#ZIMvBAN | #IspahaniTest | #VisitZimbabwe | #BowlOutCovid19 pic.twitter.com/4cXDliFrJB
— Zimbabwe Cricket (@ZimCricketv) July 7, 2021
তিন উইকেটে ৭০ রান নিয়ে দ্বিতীয় সেশনের ব্যাটিং শুরু করে বাংলাদেশ। প্রথম সেশনে খুব ধীরগতির ব্যাটিং করলেও দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশের পরিকল্পনা ছিল ভিন্ন। উইকেটে টিকে থাকার চেয়ে রান তোলায় বেশি মনযোগী হতে শুরু করেন দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক এবং মুশফিকুর রহিম। প্রথম চার ওভারে তারা রান তোলেন ২৯, ছয় ওভারে রানরেটটা ছিল ছয়েরও উপরে।
রান তোলায় বেশি মনযোগী হওয়াই মূলত কাল হয়ে দাঁড়ায় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানের জন্য। মুমিনুল হক যখন আউট হন, দলের সংগ্রহ তখন ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান । দ্বিতীয় সেশনের কেটে গেছে তখন ১৩ ওভার, যেখানে বাংলাদেশ তুলে ফেলেছে ওভারপ্রতি প্রায় পাঁচ রান। এরই মধ্যে আউট হয়ে গেছেন সাকিব আল হাসান এবং মুশফিকুর রহিম।
দলীয় ১০৬ রানে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে আউট হন মুশফিকুর রহিম । ব্লেসিং মুজারাবানির অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বল ছেড়ে দেন মুশফিকুর রহিম। মুজারাবানির ইন-সুইঙ্গার সরাসরি আঘাত হানে মুশফিকের থাই প্যাডে। আঙ্গুল উঠাতে সময় নেননি আম্পায়ার। তবে মুশফিকুর রহিমের অভিব্যাক্তি বলে দেয়, আম্পায়ারের এই সিদ্ধান্তে তিনি খুব খুশি হতে পারেননি। এমনকি খালি চোখে দেখে মনে হয়েছে বলটা স্ট্যাম্পের অনেক উপর দিয়েই যেত। তবে সিরিজে ডিসিশন রিভিউ সিস্টেমের (ডিআরএস) ব্যবহার না থাকায় রিভিউ নিতে পারেননি তিনি।
মুশফিকের আউট হওয়ার পর ক্রিজে আসেন সাকিব আল হাসান। সাকিব আসা-যাওয়ার মাঝে ক্রিজে ছিলেন পাঁচবল, বলও খেলেছেন ঐ পাঁচটি। রান করেছেন ৩। অর্থাৎ ব্যাটিং ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বেরই হতে পারছেন না সাকিব আল হাসান। বাঁহাতি মিডিয়াম পেসার ভিক্টর নিয়াউচির অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বল স্কয়্যার ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে রেজিস চাকাভার হাতে ধরা পড়েন তিনি।
মুমিনুল আউট হয়েছেন ৭০ রান করে। ভিক্টর নিয়াউচির অফ স্ট্যাম্পের বাইরের সাদামাটা শর্ট বল যেন ক্যাচ অনুশীলন করালেন গালিতে থাকা অভিষিক্ত দিওন মায়ার্সকে। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে মুমিনুলের রান ছিল ৩২। মধ্যাহ্ন বিরতির পর ওয়ানডে মেজাজে ব্যাটিং করা মুমিনুল ফিফটি তুলে নেন ৬৪ বলে। জিম্বাবুয়ের সেরা বোলার ব্লেসিং মুজারাবানির বলে ফ্লিক করে ক্যারিয়ারের ১৪তম অর্ধশতক তুলে নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তার ৭০ রানের ইনিংসের বেশিরভাগ রানই এসেছে ফ্লিক থেকে। ১৩ চারের নয়টাই মারেন ফ্লিক করে।