১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, রবিবার

ইয়াসির ও সোহানের প্রশংসায় মুখর ব্যাটিং কোচ

- Advertisement -

না হয়ে উপায়ও তো নেই! বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে বাকি আর একজন ব্যাটারও যেখানে দুই অঙ্কের রানই স্পর্শ করেননি, সেখানে ইয়াসির আলী চৌধুরী, টেস্ট ক্রিকেটে এটি যার কেবল তৃতীয় ইনিংস, তুলে নিয়েছেন ফিফটি। এবং নুরুল হাসান সোহান, ২০১৭ সালে অভিষেকের পর এটি যার কেবল ৫ম টেস্ট, করেছেন ৪১।

হ্যাগলি ওভালের ঘাসে ছাওয়া উইকেট যে শুধু দেখতেই ভয়ানক, আদতে অতটা নয় সেটি নিউজিল্যান্ড দেড়দিনেই বুঝিয়ে দিয়েছে। তবুও বাংলাদেশের টপ অর্ডার যেভাবে আউট হলো মনে হচ্ছিলো বল তারা চোখেই দেখছেন না। ইয়াসির আর নুরুল দেখিয়ে দিয়েছেন এই পিচে ‘কিভাবে’ ব্যাট করতে হয়।

ম্যাচশেষে সংবাদ সম্মেলনে ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্সের মুখে তাই ঝড়েছে দুই শিষ্যকে নিয়ে প্রশংসা। তিনি বলেছেন ইয়াসির ও সোহানের এই ব্যাটিংয়ের পেছনে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে তাদের ‘সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা’

“সোহান খুব পজিটিভ খেলেছে। বোলারদের ভালোভাবে এগিয়ে এসে খেলেছে। ফ্রন্টফুটে খুব সাবলীল ছিলো। সামনের পায়ে ভরের স্থানান্তর খুব ভালো করেছে। ইয়াসির কেবল তাঁর তৃতীয় টেস্ট খেলছে, আজ আউটটা দূর্ভাগ্যজনক ছিলো। কিন্তু গত ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও পরিস্থিতির দাবি খুব ভালোভাবে মিটিয়ে ব্যাটিং করেছে সে।”-বলেছেন প্রিন্স

ফিফটি না পেলেও সোহান ছিলেন সাবলীল

“ইয়াসিরের ডিফেন্স ভালো ছিলো এবং তার সিদ্ধান্তগুলো সঠিক ছিলো। এটা ওরকমই পিচ। আপনাকে আত্মবিশ্বাসের সাথে বল ছেড়ে দিতে হবে। কোন বলে আপনি ডিফেন্সিভ শট খেলবেন আর কোন বলে এটাকিং, এই সিদ্ধান্তটা আপনাকে ঠিকমতো নিতে হবে। ‘সঠিক সিদ্ধান্ত’ এটিই এই পিচে ব্যাট করার মূল চাবিকাঠি।”- আরো যোগ করেন তিনি

ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স

পিচটি ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো, এখানে শট খেলা যায়। তা আগেই বোঝা গিয়েছিলো। দিনশেষে প্রিন্সকে পোড়াচ্ছে মৌলিক একটি জিনিস না করতে পারার অভাবে আরো বড় কিছু পার্টনারশিপ না পাওয়ার দুঃখ! তা হলো ‘বল ছেড়ে দেওয়া’। সাদমান প্রায় ষষ্ঠ স্ট্যাম্পের বলে খোঁচা দিয়ে আউট হয়েছেন, লিটনও বাইরের বলে ড্রাইভ খেলার লোভ না সামলাতে পেরে ইনসাইড এজে বোল্ড হয়েছেন। প্রিন্স মনে করেন বল ছেড়ে খেললে তাদের রান আরো বড় হতে পারতো।

“অফস্ট্যাম্পের বাইরে বল ছেড়ে দিতে থাকলে ওরা (নিউজিল্যান্ড) সোজা বল করতে বাধ্য হত। যেমন আমাদের বেলায় কিউইরা অনেক বল ছেড়ে দিয়েছে। এটা নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারদের স্বভাবজাত, তারা বাউন্সি পিচে খেলে অভ্যস্ত। কিন্তু আমাদের ব্যাটাররা বল ‘খেলে’ অভ্যস্ত, ‘ছেড়ে’ নয়। তবে আমার মনে হয় আগের টেস্টে আমরা বল ছেড়ে ছেড়ে খেলেছিলাম ও ব্যাকফুটে বেশি সাবলীল ছিলাম। আজও আমাদের ছেড়ে ছেড়ে খেলা দরকার ছিলো। আশাকরি আগামীকাল ভালো একটি দিন আমাদের যাবে।”

 

 

 

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img