ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়টাই হয়তো বাড়াচ্ছিল আফগানিস্তানের আত্মবিশ্বাস! তবে উড়তে থাকা কিউইদের বিপক্ষে পাত্তাই পেলো না আফগানরা। ২৮৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে তারা অল আউট হয়েছে ১৩৯ রানে। ১৪৯ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে নিউজিল্যান্ড। চলমান বিশ্বকাপে টানা চার ম্যাচ জিতলো কিউইরা।
টসে জিতে নিউজিল্যান্ডকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় আফগানিস্তান। ওপেনিংয়ে নেমে ইনিংসের শুরটা ভালো করেন ইয়ং ও ডেভন কনওয়ে। তবে কনওয়ে ফিরেছেন ইনিংস বড় করতে না পারার হতাশা নিয়ে। মুজিব উর রহমানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ১৮ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ২০ রান করেছেন। আরেক ওপেনার ইয়ং ঠিকই তুলে নিয়েছেন ফিফটি। ৬৪ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় ৫৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি।
দলীয় ১০৯-১১০ রানের মধ্যে কিউইদের তিন উইকেট তুলে নিয়ে দ্রুত অলআউট করার আভাস দিয়েছিলেন আফগান বোলাররা। কিন্তু, অধিনায়ক ল্যাথাম ও ফিলিপস মিলে সেই আশায় জল ঢেলে দেন। শুরুতে দেখেশুনে খেললেও ফিফটি পূর্ণ করার পর আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেন ফিলিপস। ৮০ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় ৭১ রানের ইনিংস খেলেন ডানহাতি ব্যাটার। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন ল্যাথাম। ৬৭ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন কিউই অধিনায়ক। ৪৮ তম ওভারে প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ৭৪ বলে ৩ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
এদিন বেশ কয়েকটি সহজ ক্যাচ ছেড়েছে আফগান ফিল্ডাররা। শেষের দিকে এসে ১২ বলে ২৫ রানের ক্যঅমিও খেলেন মার্ক চ্যাপম্যান।
আফগানিস্তানের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও নাভিন উল হক। একটি করে উইকেট নিয়েছেন রশিদ খান ও মুজিবুর রহমান।
জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে আফগানিস্তান। দলীয় পঞ্চাশের আগেই হারিয়ে বসে ৩ উইকেট। মাঝে রহমত শাহ এবং আজমতউল্লাহ ওমরজাই লড়াই করলেও কাজের কাজটা হয়নি। ৬২ বলে ৩৬ করে আউট হয়েছে রহমত, ওমরজাই করেছেন ৩২ বলে ২৭ রান। ১৩৯ রানে থেমেছে আফগানিস্তানের ইনিংস।
কিউইদের হয়ে মিচের স্যান্টনার এবং লোকি ফার্গুসন নিয়েছেন সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট। ৮০ বলে ৭১ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা গ্লেন ফিলিপস।