২৭ জুলাই ২০২৪, শনিবার

এমন মিরাজকেই দেখতে চায় বাংলাদেশ!

- Advertisement -

টেস্টে টেলএন্ডারদের ব্যাটে কবে বাংলাদেশ সেঞ্চুরি দেখেছে সেই স্মৃতিতে হয়তো ধুলো জমেছে। কিন্তু মেহিদী মিরাজ দেখিয়ে দিলেন চাইলেই ৮ নাম্বারে নেমে সেঞ্চুরি করা যায়। চট্টগ্রামের টেস্টে দলের প্রয়োজনের সময় কার্যকরী এক ইনিংস খেললেন। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটাও তুলে ফেললেন। সাগরিকা পাড়ের উইকেটকে স্মরণীয় করে রাখলেন। শুধু তাই নয়, প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটেও কোন সেঞ্চুরি নেই এই অলরাউন্ডারের। ২৩তম ম্যাচে এসে ম্যাজিকাল ফিগারের দেখা পেলেন।

মেহেদী মিরাজ অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। অলরাউন্ডার হিসেবে দলে তার অন্তর্ভুক্তি হয় সবসময়। কিন্তু লম্বা সময় রান খরায় ছিলেন। দুই বছর আগে সবশেষ হাফ সেঞ্চুরি পান। তারপর ১২ ইনিংসে কোন হাফ সেঞ্চুরি নেই। ২০১৬ তে অভিষেক হওয়া মিরাজ সেঞ্চুরি দেখলেন ২০২১ এসে। শেষ পর্যন্ত মিরাজের আউটেই বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৪৩০ রানে। ১০৩ রানে থামেন এই অলরাউন্ডার অপরদিকে মুস্তাফিজ ৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।

তার আগে প্রত্যাবর্তন টেস্টে হাফ সেঞ্চুরি পান সাকিব আল হাসান। বেশ ঝলমলে ছিল সাকিবের সকালটা। তবে সাকিবের রং ছড়ানো ব্যাটিং স্থায়ী হয়নি লাঞ্চ বিরতি পর্যন্ত। কিছুটা আফসোস থেকেই গেল। ক্রিজে সেট হয়েছিলেন, প্রত্যাশাও বাড়িয়েছিলেন, সাকিবের কাছে চাওয়াটাও ছিল আরো বেশি। কিন্তু পারলেন না প্রত্যাবর্তন টেস্টে হাফ সেঞ্চুরিকে সেঞ্চুরি বানাতে। রাকিম কর্নওয়াল সাকিবকে শিকার করেন। লাফিয়ে উঠা বলকে কাট করতে গিয়ে উইন্ডিজ অধিনায়কের হাতে ক্যাচ দেন। সাকিবের রান তখন ৬৮। আর এই আউটে উইন্ডিজরা সেশনে জোড়া উইকেট শিকারে দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনটা কাজে লাগায়।

সাকিব-লিটন জুটি দিনের শুরুটা করেন। লিটন আগের দিনের সঙ্গে চার রান যোগ করে ৩৮ রানে আউট হন। এছাড়া তাইজুল ১৮ এবং নাঈম হাসান ২৪ রান করেন। উইন্ডিজেদর মধ্যে সফল বোলার জোমেল ওয়ারিকান। ১৩৩ রান দিয়ে চার উইকেট নিয়েছেন এই স্পিনার। এছাড়া দুই উইকেট পেয়েছেন রাকিম কর্নওয়াল

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img