২৭ জুলাই ২০২৪, শনিবার

এমবাপ্পে জাদুতে তছনছ বার্সা

- Advertisement -

 

নেইমার এবং দি মারিয়া অনুপস্থিত।স্বাভাবিকভাবেই, পিএসজির চিন্তিত থাকার যথাযথ কারণ ছিল। তবে ইকার্দি এবং এমবাপের জাদুতে সেই চিন্তা ক্রমেই আশায় পরিণত হয়। ম্যাচের প্রথম ৮/১০ মিনিট বল নিয়ে দুর্বার গতিতে ছুটতে শুরু করে পিএসজি। অন্যদিকে, ঘরের মাঠে বার্সেলোনাকে তেমন গতিশীলতা ধরে রেখে আগাতে দেখা যায় নি। হালকা ডিফেন্সেই তাদের পারফরম্যান্স সীমাবদ্ধ ছিল। ম্যাচের প্রথম গোলটা আসে মেসির পা থেকে, সেটি ছিল পেনাল্টি কিক। ইকার্দি মিস করেন সহজ গোলের সুযোগ। ম্যাচের মোড় ঘুরাতে ব্যস্ত এমবাপে খুব একটা সময় নেন নি ম্যাচের দ্বিতীয় গোল করতে।

বিরতির পর মাঠে নেমে বার্সেলোনাকে আরো দুর্বল করে দিয়ে একের পর এক অ্যাটাক করে পচেত্তিনোর দল। ‘ছোট মরিচে ঝাল বেশি’ বোধহয় এই কারণেই বলে! দুর্দান্ত শটে আবার গোল করেন এমবাপে। এই গোলটি প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের হয়ে তার ১১০তম গোল, যা (ব্যক্তিগত গোল) দলটির ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ। ৭০ মিনিটে পারদেসের ফ্রি কিকে হেড করেন বিশ বছর বয়সী তরুন ফরোয়ার্ড ময়েস কিন। তবে কিছু বুঝে ওঠার আগেই ৮৫ মিনিটে কাতালানদের পা থেকে বল কেড়ে নিয়ে বার্সার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন এমবাপে। হ্যাটট্রিক পূর্ণ করে, সাথে সাথে দলের জয়টাও নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন দ্যা ফ্যান্টাসটিক বয়!

বার্সাকে থামিয়ে দিতে পিএসজির যৌথ প্রচেষ্টা এই যাত্রায় ফ্রেঞ্চদের কিছুটা নিশ্চিন্ত করেছে। কিন্তু ঠিক চার বছর আগের ঘুরে দাঁড়ানোর গল্পটা স্মরণ করে, সেই পথে আগানোর অনুপ্রেরণা নিয়ে মেসিরা প্যারিসের পথে রওনা হতে পারে কি না, তা দেখা যাবে আগামী ১১ই মার্চ নকআউট পর্বের দ্বিতীয় লেগে। তবে এটি মাথায় রাখতে হবে, কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে হলে রেকর্ড গড়তে হবে বার্সাকে। কারণ, হোম ম্যাচের এই বিপর্যয় অ্যাওয়ে ম্যাচে কাটিয়ে ওঠা খুব সহজ না।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img