ম্যাচের বয়স তখন মোটে ত্রিশ সেকেন্ড, মাঝ মাঠে বল পেয়েই এসি মিলানের বক্সে নিউক্যাসল ইউনাইটেডের দুই খেলোয়াড়। এটুকু দেখেই নিরপেক্ষ দর্শকরা হয়তো ধরে নিয়েছিলেন জমজমাট লড়াই দেখতে যাচ্ছে তারা। ম্যাচে ঘটেছে তার ঠিক উল্টো, পুরো ম্যাচে একবারও বল জালে জড়াতে পারেনি দুই দল। শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য ড্র করে মাঠ ছেড়েছে তারা।
সান সিরোতে আলেক্সান্ডার ইসাক-স্যান্দ্রো তোনালিদের বিপক্ষে নামার আগে ইন্টার মিলানকে ৫-১ গোলে হারানোর আত্মবিশ্বাস নিয়ে মাঠে নেমেছিল অলিভিয়ের জিরুরা। এসি মিলান সমর্থকরাও নিউক্যাসলের বিপক্ষে বড় জয়ের স্বপ্ন দেখছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত হতাশা নিয়ে ফিরেছে তারা।
ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণে যায় মিলান। বেশ কয়েকবার নিউক্যাসল গোলরক্ষকের পরীক্ষাও নিয়েছিল জিরুরা। বিরতির আগেই ম্যাচে লিড নিতে পারত তারা। কখনো নিউক্যাসল ডিফেন্ডার, কখনো গোরক্ষক বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
৭৫ মিনিটে ভালো সুযোগ তৈরী করেছিল মিলান। কর্ণার কিক থেকে বল পেয়ে দূর থেকে শট নিয়েছিল মিলানের এক খেলোয়াড়। কিন্তু নিউক্যাসলের এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে বল ফিরে আসলে লিড নেওয়া হয়নি তাদের। ৮৭ মিনিটে জিরুর শট ঠেকিয়ে দেন প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক। এর দুই মিনিট পর সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি পুলিসিচ।
২০০৩ সালের পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে আসা নিউক্যাল গোলের সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু তাদের কাউন্টার অ্যাটাকগুলো বারবার মিলানের ফাইনাল থার্ডে গিয়ে আটকে গেছে। তবে এদিন দারুণ ডিফেন্ডিং করেছে এডি হাওয়ের শির্ষ্যরা। শেষ পর্যন্ত কোনো দল গোল করতে না পারলে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা।
পুরো ম্যাচে ২৫টি শট নিয়ে ৯টি লক্ষ্যে রাখতে পেরেছিল এসি মিলান। অন্যদিকে ৬টি শট নিয়ে মাত্র একটি পোস্টে রাখতে পেরেছিল নিউক্যাসল।