ওমানের বিপক্ষে হারের ফলে শূন্য হাতেই কাতার থেকে ফিরবে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশের সফলতা বলতে মাত্র দুই পয়েন্ট। টেবিলের তলানিতে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করলো বাংলাদেশ। অন্যদিকে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে গ্রূপের দ্বিতীয়সেরা দল হিসেবে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ফাইনাল রাউন্ডে খেলা নিশ্চিত করলো। সঙ্গে সঙ্গে ২০২৩ সালে চীনে অনুষ্ঠিতব্য এশিয়ান কাপে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করলো। আর বাংলাদেশ নিলো বিদায়।
FT: Bangladesh ?? 0️⃣-3️⃣ ?? Oman
? Al-Hajri’s double seals ??’s 2nd place standing in Group E, as they march forward into Round 3 of the #AsianQualifiers ?? pic.twitter.com/hYOf7jtLKX
— #AsianCup2023 (@afcasiancup) June 15, 2021
কাতারের দোহায় জসিম বিন হামিদ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-ওমানের ম্যাচ ছিল অসম দুই প্রতিপক্ষের লড়াই। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ৮০ নম্বরের দল ওমান, আর বাংলাদেশের অবস্থান ১৮৪। ম্যাচের পারফরম্যান্সেই তা স্পষ্ট হয়ে গেছে, ম্যাচে মাত্র ২০ শতাংশ বল পেয়ে রাখতে পেরেছে তপু বর্মনরা। ওমানের ২২ শটের বিপরীতে বাংলাদেশের শট মাত্র দুটি, গোলমুখে ওমানের ১০ শটের বিপরীতে ওমান গোলকিপারের পরীক্ষা বাংলাদেশ নিতে পেরেছে মাত্র একবার। ওমান পাস খেলেছে প্রায় ৭০০, বাংলাদেশ দেড়শর কিছু বেশি। ওমান শুধু কর্ণারই পেয়েছে ১৫টা।
বাছাইপর্বের প্রথম লেগে ওমানের কাছে বাংলাদেশ হেরেছিল ৪-১ গোলে। দ্বিতীয় লেগে তাই আশা ছিল অন্তত এক পয়েন্ট নিয়ে ম্যাচ শেষ করার। ম্যাচের শুরু থেকেই বাংলাদেশ ব্যস্ত ছিল ওমানের আক্রমন ঠেকাতে। প্রথম কাজটা লোররন গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো, ম্যাচের মাত্র দ্বিতীয় মিনিটে মোহামেদ মোবারক আল গাফরির শট ঠেকিয়ে দেন জিকো। ম্যাচের ১২ থেকে ১৮ মিনিট পর্যন্ত একটানা ছয়-ছয়টা কর্নার পায় ওমান। পুরো প্রথমার্ধে ওমান পায় ১১ টা কর্নার!
ম্যাচের তখন সবে ২২ মিনিট। তবে তখন পর্যন্ত প্রায় পুরোটা সময়ই খেলা হয়েছে বাংলাদেশের অর্ধে। মুহুর্মুহু আক্রমণ করেও গোল না পাওয়ায় ডাগ আউটে উদ্বিগ্ন ছিলেন ওমান কোচ ব্রাঙ্কো ইভানকোভিচ, কোচের মুখে হাসি ফোঁটাতে এগিয়ে আসলেন মোবারেক আল গাফরি । তার কৃতিত্বে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন ইভানকোভিচ। বাঁ দিক দিয়ে আল হাজরির ক্রস, আলতো টোকায় বল জালে জড়ালেন মোবারেক আল গাফরি। এই ফরোয়ার্ডের গোলে বাংলাদেশের রক্ষণ ভেঙে চুরমার। বিরতিতে যাওয়ার আগে আরেকবার গোলবঞ্চিত হয় ওমান। আহমেদ আল কাবির সামনে এবার বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় গোলপোস্ট।
দ্বিতীয়ার্ধে চলেছে খালিদ আল হাজরি শো। ম্যাচের সময় তখন কাঁটায় কাঁটায় এক ঘন্টা। ডি বক্সে ‘আনমার্কড’ খালিদ আল হাজরি। বাঁ পায়ের নিখুঁত শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন হাজরি। একটু পর পোস্ট বাঁধায় আশাহত হন হাজরি। ৭৩ মিনিটে পড়েন গোলকিপার জিকোর বাঁধায়। তবে এর মিনিট সাতেক পর আর আটকাতে পারেননি জিকো। সুলাইমান আল আকবারির পাসে নিজের দ্বিতীয় আর দলের তৃতীয় গোল করে জয় নিশ্চিত করেন ওমান ফরোয়ার্ড আল হাজরি। বাংলাদেশ বরণ করে ৩-০ গোলের পরাজয়।