সবশেষ বিশ্বকাপে টাইগাররা তেমন কিছুই করতে পারেনি। ভুলে যাওয়ার মতো একটি টুর্নামেন্ট কাটিয়েছে সাকিব আল হাসান-মুশফিকুর রহিমরা। তবে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রাপ্তি যদি কিছুটা থাকে, তা হল শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদের দারুণ আম্পায়ারিং। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
দেশে ফেরার পর সম্প্রতি ‘প্রথম আলো’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শহীদ জানিয়েছেন বিশ্বকাপ অভিজ্ঞতার কথা। এবারের টুর্নামেন্টের উইকেট ভালো থাকায় আম্পায়ারিং করতে সুবিধা হয়েছে মনে করেন তিনি। খেলোয়াড়দের মতো তারাও এক-দুই বল দেখার পর উইকেটের আচরণ বুঝে যান বলে মন্তব্য করেছেন শহীদ।
তিনি বলেন, “বিশ্বকাপের উইকেটগুলো ওয়ানডে ক্রিকেটের উইকেট যেমন হয়, সে রকম ছিল। ক্রিকেটটা ব্যাট-বলের খেলাই। তবে যদি ভালো উইকেটে খেলা হয়, তাহলে আম্পায়ারদের কাজও সহজ হয়ে যায়। যদি ভালো বাউন্স থাকে, খুব বেশি টার্ন না থাকে, তখন আম্পায়ারদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। খেলোয়াড়দের মতো আমরাও এক-দুটি বল দেখার পর বুঝে যাই যে এই উইকেট কেমন আচরণ করতে পারে। তখন সিদ্ধান্ত নিতেও সুবিধা হয়”

আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র আউট-নট আউটের সিদ্ধান্তে সীমাবদ্ধ নয়। টাইম ম্যানেজমেন্ট, সতীর্থ আম্পায়ারদের সাহায্য করতে পারছেন কি না মাঠের মধ্যে এগুলোও গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার মনে করেন শহীদ।
তিনি বলেন, “প্লেয়ার ম্যানেজমেন্ট, টাইম ম্যানেজমেন্ট—এসব আম্পায়ারদের পারফরম্যান্স বিচারের গুরুত্বপূর্ণ দুটি দিক। আম্পায়ারের কাজটা আউট-নট আউটের সিদ্ধান্তে সীমাবদ্ধ নয়। সিদ্ধান্ত কতটা সঠিক হচ্ছে, সেটার চেয়েও টাইম ম্যানেজমেন্ট ঠিকমতো করতে পারলাম কি না, সেটাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। আম্পায়ারের নেতৃত্ব দেওয়ার দক্ষতা আছে কি না, সহকর্মীকে সাহায্য করেছি কি না; এসবও দেখা হয়”
শহীদ এবারের বিশ্বকাপে মাঠে থেকে পরিচালনা করেছেন পাঁচটি ম্যাচ। ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডের উদ্বোধনী ম্যাচসহ তিনটি ম্যাচে ছিলেন চতুর্থ আম্পায়ার ও আরও তিন ম্যাচে টেলিভিশন আম্পায়ার।