২৭ জুলাই ২০২৪, শনিবার

গানের পরে ক্রিকেটই ছিল আজম খানের ভালোবাসা

- Advertisement -

মৃত্যু চিরসত্য, তবে কেউ কেউ আছেন যাদের শরীর মৃত্যুকে স্পর্শ করলেও স্মৃতি করে না। আজম খান তেমনই একজন। একাত্তরে গিটার ছেড়ে বন্দুক ধরেছিলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে বন্দুক ছেড়ে গিটার। যখনই স্টেজে দাঁড়িয়েছেন, মাথায় ছিল পতাকা আর বুকভর্তি দেশের প্রতি ভালোবাসা।

কিংবদন্তি আজম খান, মানুষ তাকে চেনে পপসম্রাট হিসেবে। গানের বাইরেও আজম খানের ভুবন জুড়ে ছিল ক্রিকেট; ভালোবাসতেন বাংলাদেশ দলকে, ব্যাট-প্যাড নিয়ে ছুটে যেতেন মাঠে; বোলিংটাই বেশি পছন্দ করতেন।

পাড়া মহাল্লায় টেপ টেনিস খেলে বেড়াতেন। ব্রাদার্স ইউনিয়ন মাঠ ব্যাট-প্যাড নিয়ে প্র্যাকটিস করতেন। ১৯৯৮ সালে যখন যাত্রাবাড়ি ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে  প্রথম বিভাগের ম্যাচ খেলেন তখন আজম খানের বয়স ছিল আটচল্লিশ, ডাব্লিউ জি গ্রেস-তো পঞ্চাশের পরেও ক্রিকেট খেলেছেন, আজম খানকেতো সেই হিসেবে তরুণই বলা চলে। সেই ম্যাচের মধ্য দিয়ে আজম খান বনেছিলেন  সিসিডিএমএর সবচেয়ে বেশি বয়সে খেলা ক্রিকেটার।

দুটো মানচিত্র একে দুটো দেশের মাঝে জমে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ। গিটার আর ব্যাট আজম খানের জন্য অনেকটা আলাদা মানচিত্রের মতো ভিন্ন হলেও, তার অনুভূতি এই দুইয়ে মিলেমিশে ছিল একাকার।

শেষ বয়সে আজম খান একটি ম্যাচ খেলতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশের হয়ে। সব শেষ ইচ্ছাই কি পূরণ হয়? হয়নি বলে কি আক্ষেপ ছিল আজম খানের? কে জানে-কতোদিন ধরে আজম খান পুষেছেন দেশের হয়ে খেলার স্বপ্ন!

বেঁচে থাকলে আজ আজম খান পা দিতেন একাত্তর বছর বয়সে। এই একাত্তর সংখ্যাতে এসেছে মানুষের স্মৃতিতে অমর হয়েছেন আজম খান। পপ সম্রাটকে জন্মদিনে অলরাউন্ডারের শ্রদ্ধা।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img