‘আমি কারো সঙ্গে কথা বলতে পারতাম না। আপনি যদি কাউকে বলেন আপনি একজন সমকামী, আপনি কখনোই নির্বাচিত হবেন না, তখন আপনার খেলা ছেড়ে দিতেই হবে।‘
নিজের ছেলেবেলার ক্রিকেট জ়ীবনকে এভাবেই বর্ননা করেছেন ‘গ্রেস’ ক্যাপ্টেন মনিশ মদি! উইলিয়াম গিলবার্ট গ্রেসের নামানুসারে সমকামীদের এই দলের নামকরণ করা হয়। ভারতীয় বংশদ্ভত মনিশ মদির কাছে একজন সমকামী হয়ে পেশাদার ক্রিকেট খেলা কখনোই সম্ভব ছিল না। তাই মদিদের কাছে ‘গ্রেস’ প্রমাণের একটা মঞ্চ।
আগামী ২৩মে উইলি হিল ওভালে সফরকারী লন্ডনভিত্তিক দল গ্রেসকে আতিথ্য দিবে বার্মিংহাম ভিত্তিক সমকামীদের দল বার্মিংহাম ইউনিকর্নস। দুইদলের জন্য আশার আলো, তারা সমর্থন পাচ্ছেন ইংল্যান্ড এণ্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি)। শুধু ইংল্যান্ড নয়, পুরো বিশ্বে এমন ঘটনা এটাই প্রথম।
Great to see our long standing friends from @Graces_Cricket making headlines for being the wonderful people they are.
Hope the game goes well on the 23 May and we look forward to seeing you again in September ???? #FreeToBeYou https://t.co/YsR0LofzLN
— Winsley CC (@winsleycc) May 5, 2021
১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত ক্লাব গ্রেস দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে সমকামীদের জন্য ক্রিকেটের একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে। এই শতকের শুরুতে সমকামীদের ক্রিকেট ক্লাব পরিচালনা করা ছিল যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের। শুরুতে আপত্তি আসে বিখ্যাত গ্রেস পরিবার থেকে, তাদের অবগত না করেই দলের নাম রাখায়। জীবনের যেকোন পরিস্থিতিতে একটা বেঞ্চমার্ক থাকা খুব জরুরি, তাদের বেঞ্চমার্ক যে উইলিয়াম গিলবার্ট গ্রেস । তাই কোনো ঘাত প্রতিঘাত কখনোই আটকে রাখতে পারেনি গ্রেসকে। তারা নিজেদেরকে পরিচয় দেয় নেতা হিসেবে, যেমনটা ছিলেন তাদের গুরু উইলিয়াম গিলবার্ট গ্রেস। পাহাড়ি জিগজ্যাগ রাস্তার মতো পথচলা শুরু হলেও সেই রাস্তা এখন বড্ড মসৃন।
করোনা মহামারীর আগ পর্যন্ত গ্রেসই ছিল সমকামীদের একমাত্র ক্রিকেট ক্লাব। কিন্ত করোনা মহামারীতে শাপে বর হিসেবে তৈরি হয় বার্মিংহাম উইনিকর্নস ক্লাব। বার্মিংহামের ক্রীড়া অনুরাগী ল্যাচল্যান স্মিথ গঠন করেন এই ক্লাব। শুধু খেলোয়াড় নন, সেদিন যিনি ম্যাচ পরিচালনা করবেন তিনিও সমকামী।