রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে চতুর্থ দিন শেষে ৯৪ রানে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের ৪৪৮ রানের জবাবে ৫৬৫ রানে থামে টাইগাররা। সফরকারীদের হয়ে ৩৪১ বলে ১৯১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন মুশফিকুর রহিম। এছাড়াও ৯৩ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেছেন সাদমান ইসলাম। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১ উইকেট হারিয়ে ২৩ রান সংগ্রহ করেছে পাকিস্তান।
স্বাগতিকদের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি। শেষ বিকেলে ওপেনার সাইম আইয়ুবের উইকেট হারিয়েছে তারা। পাকিস্তানি ওপেনারের উইকেট নিয়েছেন শরীফুল ইসলাম। অধিনায়ক শান মাসুদ অপরাজিত আছেন ৯ রানে, আব্দুল্লাহ শফিকের সংগ্রহ অপরাজিত ১২ রান।
এর আগে বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে ছিলেন মুশফিক। চতুর্থ দিন ডানহাতি এ ব্যাটার যখন উইকেটে আসেন তখন তার নামের পাশে ৫৫ রান, লিটন কুমার দাশের ৫২। চতুর্থ দিনে ইনিংসটাকে লম্বা করেছেন ডানহাতি এ ব্যাটার। শাহিন শাহ আফ্রিদি-খুররম শেহজাদদের বাজে বলের অপেক্ষা করেছেন। বাজে বল পেলেই সেটি বাউন্ডারিতে পরিণত করেছেন তিনি।
ইনিংসে বেশ কয়েকবার ভাগ্যের ছোয়াও পেয়েছেন মুশফিক। একবার তার বিপক্ষে এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে সাড়া দিয়েছিলেন আম্পায়ার। তবে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান ডানহাতি এ ব্যাটার। ব্যক্তিগত ১৫০ রানের মাথায়ও তার ক্যাচ ফেলেছে পাকিস্তান। যার খেসারত দিতে হয়েছে তাদের।
লিটন ফেরার পর উইকেটে আসা মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে প্রথম জুটি গড়ার দিকে মনোযোগ দিয়েছেন মুশফিক। এরপর যখনই সুযোগ পেয়েছেন স্কোর করেছেন। ২০০ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। এরপর দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে এগোচ্ছিলেন দুইশোর দিকে। তবে ৩৪১ বলে ১৯১ রান করে মোহাম্মদ আলীর বলে মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ দেন মুশফিক। আর তাতে ভাঙে মিরাজের সাথে তার ১৯৬ রানের জুটি।
মুশফিক ফেরার পর টেলএন্ডারদের সাথে নিয়ে লড়াই করেছেন মিরাজ। তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন শরীফুল ইসলাম। ৭৭ রানে থামে মিরাজের ইনিংস। ১৪ বলে দুটি করে বাউন্ডারি ও ছক্কায় ২২ রান করেছেন শরীফুল।
এর আগে ১৮৩ বলে ৯৩ রানের ইনিংস খেলেছেন সাদমান। মুমিনুল হক ৫০ ও লিটনের ব্যাট থেকে এসেছে ৫৬ রান।
পাকিস্তানের হয়ে ২৭.৩ ওভারে ৯৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন নাসিম শাহ। দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি, খুররম শেহজাদ ও মোহাম্মদ আলী।
