শিরোনামটা লেখার মাঝেও একটা আনন্দ আছে। তবে দর্শকের দৃষ্টিকোণ বাদ দিয়ে খাঁটি সাংবাদিকের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলেও কথাটি আসলে ভুল না। প্রথম তিনদিন বাংলাদেশের দ্বারা প্রতিটি ক্ষেত্রে পরাজিত হয়ে চতুর্থদিনে এসে চা বিরতি পর্যন্ত দেখে বলা যায় অবশেষে নিজেদের মাটিতে বাংলাদেশের সাথে একটু চোখে চোখ রেখে কথা বলছে নিউজিল্যান্ড।
সকালের সেশনটা বাংলাদেশের হতে হতে হয়নি। শেষ দুই স্বীকৃত ব্যাটার ইয়াসির আলী রাব্বি ও মেহেদী মিরাজ যথেষ্ট স্বাচ্ছন্দ্যে খেলছিলেন। বেশি স্বচ্ছন্দ ছিলেন মিরাজ। ক্ল্যাসিক সব ড্রাইভের সাথে কিছু আক্রমণাত্নক শট খেলে লিড বাড়ানোর চেষ্টা করছিলেন। ইয়াসির ছিলেন সহযোগী ভূমিকায়। তবে ফিফটির ৩ রান আগে টিম সাউদির আউটসুইঙ্গারে উইকেট বিলিয়ে আসেন মিরাজ। খানিক্ষণ পর ইয়াসিরও জেমিসনের বলে আউট হন ২৬ রানে। লেজ মুড়ে দিতে বেশি সময় লাগেনি কিউই বোলারদের। ৪৫৮ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ.০
১৩০ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে কিউইরা। ২৯ রানে টম ল্যাথামকে বোল্ড করে ব্রেকথ্রু দেন তাসকিন আহমেদ। এরপর ডেভন কনওয়ে ও উইল ইয়ংয়ের জুটি জমে উঠতে শুরু করে। তবে ইবাদত হোসেনের দুর্দান্ত টাইট বোলিং ও মেহেদি মিরাজের স্পিনে রানের চাকা জুতমতো ছুটাতে পারছিলেন না। এর মাঝে শরিফুলের একটি বলে এলবিডাব্লিউ ছিলেন ইয়ং, দেননি আম্পায়ার। জুটি ভাঙ্গেন ইবাদত। ডেভন কনওয়েকে স্লিপে সাদমান ইসলামের ক্যাচ বানিয়ে।
চা বিরতি পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের স্কোর ৬৮/২। উইকেটে আছেন উইল ইয়ং ও রস টেলর।