আসা-যাওয়ার মিছিলেই শেষ নেদারল্যান্ডসের ইনিংস। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাত্র ৯০ রানেই অলআউট ডাচরা হেরেছে ৩০৯ রানে। এত বিশাল ব্যবধানের জয় নিয়ে অজিরা এখন পয়েন্ট টেবিলের চার নম্বরে।
অস্ট্রেলিয়ার দেয়া ৪০০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে বেশ দেখেশুনেই শুরু করেছিলেন বিক্রমজিতসিং এবং ম্যাক্স ও’ডাউট। তবে অজি বোলারদের দাপটে বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি নেদারল্যান্ডস, পাওয়ারপ্লেতেই ৪৮ রানে হারিয়েছে ৩ উইকেট। বিক্রমজিতের ২৫ বলে ২৫ রানের ইনিংস ছাড়া বাকি কেউ বলার মতো রান করতেও পারেনি। ডাচরা মাত্র ২১ ওভারেই গুটিয়ে গেছে ৯০ রান করে, যা এবারের বিশ্বকাপে সর্বনিম্ন রান। অজিদের পক্ষে ৩ ওভারে মাত্র ৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন অ্যাডাম জাম্পা।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে ৮ উইকেটে ৩৯৯ রান তোলে অজিরা। এ ম্যাচে বিশ্বকাপের ইতিহাসে এইডেন মার্করামের করা ৪৯ বলে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটি ৯ বল কম খেলেই ভেঙ্গে দেন অজি অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, হয়েছেন ম্যাচসেরাও।
অবশ্য পাওয়ারপ্লেতে দলীয় ২৮ রানের মধ্যে মিচেল মার্শকে ফিরিয়ে দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিল ডাচরা। তবে এরপরের গল্পে শুধু অজি ব্যাটারদের আধিপত্য। মার্শ ফেরার পর স্টিভ স্মিথকে নিয়ে ১১৮ বলে ১৩২ রানের জুটি গড়েছেন ওয়ার্নার। ডাচ বোলারদের কোনো পাত্তাই দেননি তারা। ৬৮ বলে ৯ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় স্মিথ ৭১ রান করে ফিরে গেলেও বিশ্বকাপে টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন অজি ওপেনার।
ওয়ার্নার যখন ফাইন লেগে লোগান ফন বিককে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তখন তার নামের পাশে ৯৩ বলে ১১ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় ১০৪ রান। লাবুশেনের ব্যাট থেকে এসেছে ৪৭ বলে ৭ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৬২ রান।
শেষের দিকে উইকেটে এসে ঝড় তুলেছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। আরিয়ান দত্ত-বাস ডি লিডদের বলে একের পর এক বাউন্ডারি মেরেছেন তিনি। ২৭ বলে ফিফটির দেখা পাওয়া অজি অলরাউন্ডার সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে সময় নিয়েছেন আর মাত্র ১১ বল। শেষ পর্যন্ত ৪৪ বলে ৯ বাউন্ডারি ও ৮ ছক্কায় ১০৬ রান করে থামেন তিনি।
নেদারল্যান্ডসের হয়ে ১০ ওভারে ৭৪ রান দিয়ে চার উইকেট শিকার করেছেন লোগান ফন বিক। দুটি উইকেট নিতে বাস ডি লিড খরচ করেছেন ১০ ওভারে ১১৫ রান।