টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্স। প্রথম ওভারেই অধিনায়ক ইয়ন মরগান বল তুলে দিলেন সাকিব আল হাসানের হাতে। ছোট রানআপে সাকিব বল করা শুরু করলেন; ব্যাটিং প্রান্তে রুতুরাজ গায়কোয়াড়। নীচু হওয়া বলটাকে মিড অফে ঠেলে দিয়েই স্ট্রাইক দিলেন ফাফ ডু প্লেসিকে। সাউথ আফ্রিকান তারকাকে পেয়েই ফ্লাইট মারলেন সাকিব, ডট বল। পরের বলেই এক। সাকিবের চতুর্থ বলটা শর্ট পড়ে যাওয়াতে চারটা মারতে বেগ পেতে হলো না গায়কোয়াড়কে। পরের বলেই সাকিবের আর্মার ডেলিভারি এবং ডট। শেষ বলেও দেননি কোনো রান; প্রথম ওভারটা সাকিব শেষ করলেন ছয় রানে।
তৃতীয় ওভারে আবারো বল হাতে সাকিব; প্রথম বলেই দুর্দান্ত আর্মারে পরাস্ত ডু প্লেসি। উইকেটটা না পেয়ে আক্ষেপভরা চেহাড়া সাকিবের, বলটা উইকেটকিপার দীনেশ কার্তিক ধরতে পারলে হতে পারতো স্ট্যাম্পিংটাও। পরের দুই বলেই চার এবং ছয়। ভক্ত-সমর্থকদের মাথায় হাত! নিজের দ্বিতীয় ওভারটা সাকিব শেষ করলেন বারো রানে। দুই ওভার শেষে সাকিবের বোলিং ফিগারটা যা দাড়ালো সেটা সাকিবসুলভ কোনোভাবেই হতে পারে না। উইকেট পাননি একটাও, রান দিয়েছেন আঠারো।
চেন্নাইয়ের সংগ্রহটা তখন ৮.১ ওভার শেষে এক উইকেটে ৬১। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকের জায়গাটা নিজের করে নিয়ে সুনীল নারিনের বলে প্যাভিলিয়নের পথে গায়কোয়াড়। পেছনে ফেলেছেন ৬২৬ রান করা লোকেশ রাহুলকে। পরের ওভারেই মরগান আরো একবার বল তুলে দিয়েছিলেন সাকিবের হাতে; দুই ছক্কায় সাকিবের সেই ওভার থেকে এসেছে ১৫ রান। লোকি ফার্গুসনের পরের ওভারেও চেন্নাই তুলেছে ১৭। প্লেসি-রবিন উথাপ্পা মিলে তুলেছেন ঝড়; নারিনের বলেই এলবিডব্লিউয়ের শিকার হয়ে ড্রেসিং রুমে ফেরার আগে উথাপ্পা করেছেন ১৫ বলে ৩১!
দুর্দান্ত শুরু করা চেন্নাইয়ের শেষটাও হয়েছে দুর্দান্ত। সাকিবকেও আর বোলিংয়ে আনেননি কেকেআর অধিনায়ক। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ধোনির চেন্নাইয়ের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৯২। মঈন আলিকে সাথে নিয়ে ডু প্লেসি স্কোরবোর্ডে যোগ করেছেন ৬৮ রান। ইনিংসের শেষ বলে প্লেসি আউট যাওয়ার আগে করেছেন ৮৬ রান, মঈনের ব্যাট থেকে এসেছে অপরাজিত ৩৭ রানের ইনিংস। ২৬ রানে দুইটি উইকেট পেয়েছেন সুনীল নারিন; তিন ওভারে ৩৩ রান দিয়ে উইকেট শূন্য সাকিব। তৃতীয়বারের মতো শিরোপা জিততে হলে কলকাতার প্রয়োজন ১৯৩ রান।