চলমান সফরের আগে সাদা বলের ক্রিকেটে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তাদের বিপক্ষে বাংলাদেশের কোনো জয় ছিল না। তাসমান সাগরের পাড়ের দেশটিতে পা রাখার পরেই অতীত ইতিহাস বদলানোর কথা বলেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। সেই সাথে অধিনায়কের কন্ঠে শোনা গিয়েছিলো সিরিজ জয়ের কথাও।
তবে টাইগাররা সিরিজ জিততে না পারলেও তৃতীয় ওয়ানডেতে কিউইদের উড়িয়ে দিয়ে পেয়েছে প্রথম জয়ের দেখা। তাই বাংলাদেশের সমর্থকরা আশা করছেন, ২৭ তারিখ থেকে শুরু হতে যাওয়া তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজেও দারুণ কিছু করে দেখাবে সৌম্য সরকার-লিটন কুমার দাশরা। টাইগাররা সমর্থকদের কতটা খুশি করতে পারবে সেটা সিরিজ শেষে বোঝা যাবে। তার আগে তৃতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশ যেভাবে নিউজিল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়ে জিতেছে তাতে করে টি-টোয়েন্টির আগে বাড়তি আত্মবিশ্বাস পাওয়ার কথা সফরকারীদের।

২০ ওভারের এই ফরম্যাটে তরুণ একটা দল নিয়ে মাঠে নামবে টাইগাররা। ক্রিকেটের এই ফরম্যাটে বাংলাদেশ কখনোই স্বাচ্ছন্দবোধ না করলেও শেষ আট ম্যাচ ধরে অপরাজিত থাকায় রনি তালুকদার-তাওহীদ হৃদয়দের নিয়ে ভরসা করতেই পারে টাইগার সমর্থকরা।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের মাটিতে এর আগে ৯টি টি-টোয়েন্টি খেলেছে বাংলাদেশ। যেখানে প্রতিবারই হারের হতাশা নিয়ে ফিরেছে টাইগাররা।
নিউজিল্যান্ড সিরিজ বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগে কিউইদের বিপক্ষে ছাড়া শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের সাথে ২০ ওভারের ফরম্যাটের সিরিজ খেলবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ-যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে তাই এই তিন সিরিজ থেকেই সেরা খেলোয়াড় বাছাই করার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ।