বিশ্বকাপে সময়টা ভালো যায়নি লিটন দাসের। পাকিস্তান সিরিজেই বাদ পড়েছেন দল থেকে। সাদা বলের ক্রিকেটে বাদ পড়েই জাতীয় লিগের গিয়েছেন লাল বলের ক্রিকেটের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে। আর, সাদা জার্সিতে বাংলাদেশ দলে ফিরেই তুলে নিয়েছেন টেস্ট ক্রিকেটের প্রথম শতক। শতকের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান টাইগার উইকেটকিপার দিয়েছেন টি-টোয়েন্টি থেকে বাদ পড়াটাকেই।
“টি-টোয়েন্টি থেকে যেজন্য ব্রেক দিয়েছিল, হয়তো সেজন্যই (শতক তুলে নেওয়া) সম্ভব হয়েছে। হয়ত বা তারা চাচ্ছিল আমি টেস্টে ভালো পারফর্ম করি সেজন্য রেস্ট দিয়েছিল”-বলছিলেন লিটন
শতকের দেখা পাওয়ার পর নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে টাইগার উইকেটকিপার জানিয়েছেন, “কোনো ব্যাটসম্যান যদি হানড্রেড করে, তাহলে এরচেয়ে বড় তো কিছু থাকে না পাওয়ার। ইনিংসটাকে যদি আরেকটু বড় করতে পারতাম তাহলে দলের জন্য ভালো হতো।”
কিন্তু, শতক তুলে নিলেও লিটন বললেন নতুন করেই তাকে আবার করতে হবে শুরু, “সবাই চেষ্টা করে ধারাবাহিক হওয়ার জন্য। আমি কতটুকু অবদান রাখতে পারব জানিনা, তবে প্রসেস অনুসরণ করবো। যেভাবে শেষ ছয় সাতটা টেস্টে করে আসতেছি। আজকে একশ করছি দেখে পরের দিনে ব্যাট হাতে নামলেও একশ হবে তেমনটা না। টেস্ট ক্রিকেট অনেক টাফ ক্রিকেট, প্রতিদিন ‘জিরো’ থেকে শুরু করতে হয়।”
মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে গড়েছেন বড় জুটি, দলকে এনে দিয়েছেন সম্মানজনক স্কোর। দুজনই বিশ্বকাপে খারাপ পারফরম্যান্স করার কারণে ছিলেন ব্যাকফুটে। সেখান থেকে ফিরে আসাটাকেই বড় করে দেখছেন লিটন, “সবকিছু মিলে দুজনই টাফ সিচুয়েশনে ছিলাম, দুজনই ওভারকাম করেছি। দুজন দুজনকে সাপোর্ট করেছি এটাই বড় ব্যাপার।”
তৃতীয় দিন শুরুর আগে ব্যাকফুটে টাইগাররা। লিটন জানালেন সকাল সকাল উইকেট তুলে নিতে পারলে বদলে যাবে দৃশ্যপট, “লাঞ্চের আগে যখন আমাদের চার উইকেট পড়ে যায়, সবাই ধারণা করতেছিল বাংলাদেশ দ্রুত অলআউট হয়ে যাবে। ওখান থেকে আমি আর মুশি ভাই ভাল একটা পার্টনারশিপ দিয়ে কামব্যাক করছি। আপাততো পাকিস্তান ভালো অবস্থানে আছে। আমার কাছে মনে হয় সোমবার সকালে যদি দ্রুত দুই তিনটা উইকেট নিয়ে নেই তাহলে খেলা আবার উভয়ের পক্ষে এসে যাবে।”