১৬ জানুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবার

টেস্ট খেলুড়ে আয়ারল্যান্ডের বিদায় সহযোগী দেশ নামিবিয়ার হাতে

- Advertisement -

টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট যে ব্রাক্ষ্মণ ও শূদ্রের পার্থক্য ঘুচিয়ে দেয়… সেই চর্চিত সত্যটিই যেন প্রমাণিত হলো আরো একবার।

একদল বিশ্বক্রিকেটে ‘জায়ান্ট কিলার’ নামে পরিচিত। নিজেদের খেলা বেশিরভাগ বিশ্ব আসরে তারা বড় বড় দলকে হারিয়ে চমক দিয়েছে। অবকাঠামো ও পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতায় নিজেদের প্রমাণ করে ২০১৭ সালে পেয়েছে টেস্ট স্ট্যাটাস। হয়তো খুব কুলীন গোত্রে উঠতে পারেনি, কিন্তু বিশ্ব ক্রিকেটে আয়ারল্যান্ড বেশ পরিচিত নাম

আরেক দল এখনো গা থেকে ঝাড়তে পারেনি ‘সহযোগী সদস্যের তকমা’। ক্রিকেটের বিশ্ব আসরে তাদের একমাত্র বলার মতো অর্জন ছিল ২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে সুযোগ করে নেওয়া। সেখানেও একটি ম্যাচও জেতা হয়নি। এরপরও যে ক্রিকেটে খুব পরিচিত হতে পেরেছে দলটি তা নয়; বিশ্ব ক্রিকেটের পরিমন্ডলে এই বিশ্বকাপের আগে নামিবিয়া ছিল প্রায় অচেনা একটি নাম।

অথচ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে সেই আয়ারল্যান্ডকেই ৮ উইকেটে হারিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে দিয়ে  সুপার টুয়েলভের পথে এখন যাত্রা করছে নামিবিয়া; সৃষ্টি করেছে ইতিহাস! ডেভিডের হাতে ঘটেছে গোলায়াথের পরাজয়। প্রবাদটা তো আক্ষরিক অর্থেও বটে, ‘ডেভিড’ উইজার অলরাউন্ড নৈপুণ্যেই তো এই অর্জন করেছে আফ্রিকার দেশটি।

টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে আয়ারল্যান্ডের সূচনা হয় দারুণ। দুই ওপেনার পল স্টার্লিং ও কেভিন ওব্রায়েন পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারেই স্কোরবোর্ডে তুলে ফেলেন ৫৫ রান। এরপর টানা দুই ওভারে দুইজনকেই তুলে নেন নামিবিয়ার বোলাররা। ২৪ বলে ৩৮ করে পল স্টার্লিং আউট হন; ও’ব্রায়েন ফিরে যান ২৫ রানে।

এরপর শারজাহর পিচের মন্থর চরিত্র কাজে লাগিয়ে ও নিজেদের সম্মিলিত বোলিং নৈপুণ্যে আইরিশদের রানের চাকায় লাগাম টেনে ধরেন নামিবিয়ান বোলাররা; উইকেটও তুলে নিতে থাকেন নিয়মিত। মারকুটে হিসেবে পরিচিত গ্যারেথ ডেলেনিকে দারুণ এক ডেলিভারিতে তুলে নেন ডেভিড উইজা; ১৮ বল খেলে ডেলেনি করতে পেরেছিলেন মাত্র ৯ রান। বালবির্নি ফিরেছেন ২১ রানে। আর কোন আইরিশ ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্ক স্পর্শই করেননি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৫ রান করতে পারে আয়ারল্যান্ড। নামিবিয়ের পক্ষে ইয়ান ফ্রিলিঙ্ক ২১ রানে ৩ উইকেট নেন, ডেভিড উইজা নেন ২২ রানে ২ উইকেট।

জবাবে শুরুটা ধীরস্থিরভাবে করে নামিবিয়া; বা বলা যায় আইরিশ বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়েই খোলসবদ্ধ থাকেন নামিবিয়ার দুই ওপেনার ক্রেইগ উইলিয়ামস ও জেন গ্রিন। ১৫ রানে উইলিয়ামসের বিদায়ের পর গেরহার্ড ইরাসমাসও সাবধানতার সাথেই এগিয়ে নিতে থাকেন দলের ইনিংস। দুজনে গড়েন ৪৮ রানের জুটি, এরপর ১৪তম ওভারে ফিরে যান গ্রিন। তবে ডেভিড উইজার বোধহয় এতো ধীরে চলো নীতি পছন্দ হচ্ছিলো না, তাইতো তিনি নেমেই শুরু করেন ঝড়। ২০০ স্ট্রাইক রেটে ১৪ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২৮ রান করে আর মাত্র চার ওভারের মধ্যেই দলকে জয়ের বন্দরে ভিড়িয়ে দেন উইজা। ইরাসমাস করেন ফিফটি।

 

 

 

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img