ওয়ার্ম আপ ম্যাচে আগফানিস্তানের বিপক্ষে শোচনীয় পরাজয় যদি বিশ্বকাপের আগে মন খারাপের কারণ হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে মন ভালো করা খবর যে ফরম্যাটের বিশ্বকাপ সে ফরম্যাটের অলরাউন্ডার র্যাংকিংয়ে সেরা বাংলাদেশের অধিনায়ক। নিসন্দেহে ড্রেসিংরুমের জন্য বাড়তি অনুপ্রেরণা। আফগান অধিনায়ক মোহাম্মদ নবিকে টপকে ২৬৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে এখন সাকিব।
র্যাংকিংয়ের এই জায়গাটা সাকিবের জন্য নতুন না। বলা যায় ক্রিকেটবিশ্ব তাকে এই জায়গাতে দেখতেই অভ্যস্ত। প্রথম অলরাউন্ডার হিসেবে এক সাথে তিন ফরম্যাটেই সেরার কৃত্বিত্ব দেখিয়েছেন সেই অনেক আগেই। তবে এখন এক সাথে দুই জায়গায় সেরা সাকিব। বাংলাদেশের লাল বলের অধিনায়ক শুধু মাত্র এই ফরম্যাটেই টপার নন। আছেন চারে। সাদা বলের দুই ফরম্যাটে সবার ওপরে।

নিউজিল্যান্ডে দলের পারফর্ম্যান্স হতাশ করলেও সাকিবের টানা দুই ইনিংসে ৬৮ এবং ৭০ রানের ইনিংস স্বস্তির। তবে র্যাংকিংয়ে খুব বেশি ওপরে আসতে পারেননি। টি-টোয়েন্টির ব্যাটিং র্যাংকিংয়ে আছেন ৫৬-তে। ওয়ানডেতে ৩২ আর টেস্টে ৪২।
সাকিব নিজেও স্বীকার করেন ব্যাটিংটা প্র্যাকটিসের মাধ্যমে ইম্প্রুভ করলেও বোলিংটা একেবারেই ন্যাচারাল। যার প্রমান প্র্যাকটিসে খুব একটা বল ঘুরাতে দেখা যায় না এই বাহাতি অর্থোডক্সকে। তবে নিসন্দেহে পরিসংখ্যান কিংবা ইম্প্যাক্টে দেশের ইতিহাসের সেরা বোলারও বটে। টি-টোয়েন্টির বোলিংয়ে আছেন ৩০ নম্বরে। টেস্টে ৩১ আর ওয়ানডেতে ১৬।
বাংলাদেশের স্কোয়াডের সাকিব ছাড়া আর কারো নেই অস্ট্রেলিয়ায় স্বীকৃত টি-টোয়েন্টির অভিজ্ঞতা। সেখানে সাকিবের আছে বিগ ব্যাশে খেলার অভিজ্ঞতা। যেটা জুনিয়রদের জন্য প্লাস পয়েন্ট। তার ওপর বিশ্বকাপের আগে সাকিবের হারানো জায়গা ফিরে পাওয়া, মানসিকভাবে কিছুটা হলেও বাড়তি সুবিধা দেবে দলের অধিনায়ককে।