প্রতি বিশ্ব আসরেই অভিজ্ঞদের সাথে কিছু প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ ক্রিকেটার নিয়ে যায় বাংলাদেশ। সেই তরুণদের অনেকেই বিশ্বমঞ্চে নিজের প্রতিভার ঝলক দেখান, ক্যারিয়ারে বড় কিছু করার পূর্বাভাস দেন, পরের বিশ্ব আসর আসতে আসতে ঝড়ে পড়েন। এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশ তেমনি এসেছে মাহেদি হাসান, আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান সোহান ও নাইম শেখকে নিয়ে। শরিফুল ইসলাম ও নাসুম আহমেদও আছেন, তবে যেহেতু সুপার টুয়েলভে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে তাদের প্রসঙ্গ উঠলো না, তাই এই লেখায়ও নাহয় তাদের কথা উহ্য থাকলো!
এই দুজন ছাড়া বাকি চার নতুনকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রশংসার খই ফুটেছে কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর মুখে। বিশেষ করে মাহেদির নাকি বড় ভক্তই হয়ে গেছেন প্রোটিয়া এই কোচ। মাহেদিকে ‘থ্রি ইন ওয়ান’ ক্রিকেটার আখ্যা দিয়ে কোচ বলেছেন,
“তার সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হলো সে দলের জন্য যেকোনো কিছু করতে প্রস্তুত থাকে। তাকে ব্যাটিং অর্ডারে যেখানেই নামান সে নামতে রাজি, তাকে পাওয়ারপ্লে তে বল করতে বলুন, মাঝে বল করতে বলুন, বা ডেথ ওভার- সে সবকিছুতেই রাজি। সবসময় সব চ্যালেঞ্জে সে নিজের শতভাগ দিতে প্রস্তুত থাকে।”
স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে তার চেষ্টা চোখে পড়েছে, এরপর ওমান ম্যাচে না পারলেও পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে স্লগ ওভারে আফিফ হোসেন তুলেছেন ঝড়। এছাড়া প্রতি ম্যাচেই দুর্দান্ত কিপিং করে নজর কাড়ছেন নুরুল হাসান সোহান। ডমিঙ্গোর মতে এরা দুজন থাকতে পারেন বাংলাদেশের বিশ্বকাপে ভালো করার মূল চাবিকাঠিদের মধ্যে।
“সোহান আর আফিফ আমাদের জন্য বড় সম্পদ হতে যাচ্ছে এই ফরম্যাটে, বিশেষ করে এই টুর্নামেন্টে। সোহান শেষের দিকে বড় হিট করতে পারে। ওমান ম্যাচে সে যেভাবে কিপিং করছে তাতে সেখানেই আমাদের ১০-১৫ রান বেঁচে গেছে। আফিফ গত ম্যাচে ১৩ বলে ২১ করলো। এরা হয়তো বড় রান করতে পারছে না এখনো তবে আমি এদের ওপর সন্তুষ্ট।”
সংবাদ সম্মেলনের এক পর্যায়ে একজন সাংবাদিক ওপেনিং জুটিতে আগের ম্যাচে নাইম শেখ ব্যর্থ হওয়ায় তাকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পরিবর্তন করা হবে কিনা, এমন প্রশ্ন করায় মাত্র এক শব্দে ‘না!’ বলে যেভাবে উত্তর শেষ করে দিলেন তাতে নাইম সম্পর্কে কোচের ধারণা নিয়ে কোন সন্দেহের অবকাশ থাকে না।
তরুণ অভিজ্ঞ মিলিয়ে এতো এতো পারফর্মার, তো কোচের চোখে আগামীকালের ‘এক্স ফ্যাক্টর’ কে হতে পারেন? এই প্রশ্নের জবাবে অবশ্য কাউকেই বেছে নিলেননা কোচ।
“শ্রীলঙ্কার সাথে এবছর বেশকিছু ম্যাচ আমরা খেলেছি। ওয়ানডেতে সিরিজ জিতেছি, টেস্টে ভালো লড়াই করেছি। এবং প্রায় সবাইই ভালো পারফর্ম করেছে, কাজেই নির্দিষ্ট করে একজন বা দুজনকে ‘এক্স ফ্যাক্টর’ বলা কঠিন। আমাদের বোলিং আমি মনে করি বিশ্বমানের, কিছু ডেঞ্জারাস ব্যাটসম্যানও রয়েছে। এছাড়াও সাকিবের মতো একজন অলরাউন্ডার রয়েছে আমাদের। শারজাহর পিচ এখনো আমি দেখিনি তবে মনে হচ্ছে মিরপুরের মতই আচরণ করবে এই পিচ।”