মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বড় জয় পেয়েছে তামিমের প্রাইম ব্যাংক। রূপগঞ্জের বিপক্ষে তাদের জয় ১০১ রানে। বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে ওল্ড ডিওএইচএসকে শাইনপুকুর হারিয়েছে ৭উইকেটে। বিকেএসপির অন্য মাঠে টান টান উত্তেজনার ম্যাচে শেষ বলে জয় পেয়েছে শেখ জামাল। প্রাইম ধলেশ্বরের বিপক্ষে তাদের জয় ৩উইকেটে।
মিরপুরে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রাইম ব্যাংকের তামিম ইকবাল ছিলেন মলিন। দলীয় ৩৫ রানে সাজঘরে ফিরেছেন ২০ বলে ১২ রান করে। কম রানে গুটিয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করেন অন্য ওপেনার রনি তালুকদার, সঙ্গে ছিলেন অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় । ৩১ বলে ৫৩ রান করে রনি ফিরে গেলেও সাবলীল ব্যাটিং করা এনামুল বিজয়ের উইলোবাজি চলেছে ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত। ৬টি ছক্কায় ৪৯ বলে ৬৯ রান করে অপরাজিত থাকেন প্রাইম ব্যাংক অধিনায়ক। নির্ধারিত ২০ ওভারে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৬৯ রান। রূপগঞ্জের পক্ষে তিন উইকেট নেন মুক্তার আলী। ১৭০ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নাম রূপগঞ্জের উপর প্রাইম ব্যাংকের বোলাররা রীতিমতো ধ্বংসযজ্ঞ চালায় । বিশেষ করে দুই স্ট্রাইক বোলার, অফস্পিনার নাহিদুল এবং পেসার রুবেল হোসেন। নাহিদুল ১৫ রানে নেন ৩টি উইকেট, ১৭ রানে রুবেলের শিকার তিনটি । প্রাইম ব্যাংকের হয়ে বাকি কাজটা সারেন অফস্পিনার নাঈম হাসান। ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রানে তার শিকার ২উইকেট। প্রাইম ব্যাংকের জয় ১০১ রানে।
বিকেএসপিতে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন শাইনপুকুর অধিনায়ক মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। শুরুতেই সাফল্য এনে তার সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা প্রমাণ করেন বোলাররা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ওল্ড ডিওএইচএস তুলেছে ৬উইকেটে মাত্র ১১৯ রান। ওপেনার রাকিব আহমেদ সংগ্রহ করেন ৫৭ বলে ৫৭ রান। রাকিব এবং ইমন ছাড়া কেউই দুই অংকের ঘরে যেতে পারেননি। সুমন খান ও মৃত্যুন্জয় দুটি করে উইকেট নেন। মাত্র ১২০ রানের ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই রবিউল ইসলামকে হারালেও সেই ছোট লক্ষ্যকে আরো ছোট করার দায়িত্ব নেন তানজিদ তামিম। তার ৭৯ রানের উপর ভর করে শাইনপুকুরের জয় ৭উইকেটে।
বিকেএসপিতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রাইম ধলেশ্বরের ত্রাতা হয়ে ওপেনার ইমরান উজজামান। ৪টি করে চার এবং ছক্কায় ৪৬ বলে ৬৫ রান করেন ইমরান। এরপর ক্রিজে আসেন শামীম পাটোয়ারি, হয়ে ওঠেন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের দুঃস্বপ্ন। ৫টি ছক্কায় ১৯ বলে ৪৯ রান করে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন তিনি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৬৬। ১৬৭ রানের বড় লক্ষ্য শেখ জামালের সামনে। প্রথম দশ ওভারে সেই লক্ষ্য আরো বড় হয়ে যায় ৫উইকেট হারালে। সেখান থেকে শেখ জামালকে পথ দেখিয়েছে তানভীর হায়দার এবং জিয়াউর রহমান। জিয়ার ব্যাট থেকে আসে ৫ ছক্কায় ৫৩। জয় থেকে মাত্র ১২ রান দূরে থেকে আউট হন জিয়া,জিয়া ফিরে গেলেও সোহরাওয়ার্দী শুভকে নিয়ে বাকি কাজটা সেরে ফেলেন তানভীর হায়দার। শেষ বলে ১ রানের সমীকরণ মিলিয়ে জিতেছে শেখ জামাল।