মুনিম শাহরিয়ারের অপরাজিত ৯২ রানের উপর ভর করে জয় পেয়েছে আবাহনী লিমিটেড। মিরপুরে টেবিল টপ প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে বৃষ্টি আইনে আবাহনীর জয় ৩০ রানে। বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ফিফটিতে জিতেছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। ৯ বল হাতে রেখে খেলাঘরের বিপক্ষে রিয়াদদের জয় ৫ উইকেটে।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) অষ্টম রাউন্ডে আবাহনী-প্রাইম ব্যাংকের ম্যাচ ছিল দুই টেবিল টপের লড়াই। লড়াই ছিল দুই বন্ধু তামিম-মুশফিকেরও। দল হিসেবে মুশফিক হেঁসেছেন, তবে হেঁসেছে তামিমের ব্যাট। ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছেন তামিম, কিন্ত হেরেছে তার দল। ১৮৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে তামিমের ব্যাটে জয়ের রাস্তাতেই ছিল প্রাইম ব্যাংক। ৫৫ রান করে তামিম যখন আউট হন, প্রাইম ব্যাংকের রান মাত্র ৭৩। রান পাননি ইনফর্ম রনি তালুকদার-এনামুল বিজয়। মোহাম্মদ মিঠুন চেষ্টা করেছিলেন, সঙ্গীর অভাবে আশার মুখ দেখেনি তার প্রচেষ্টা। আউট হন ৩৪ রানে। মাঝে কিছুক্ষণ বৃষ্টির জন্য খেলা বন্ধ থাকে, বৃষ্টির পর খেলা থামলে ১৯ ওভারে প্রাইম ব্যাংকের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৭৪। আবাহনীর হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। আবাহনীর জয় ৩০ রানে।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন আবাহনী অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তার সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা প্রমান করতে সময় নেননি দুই ওপেনার নাইম শেখ এবং মুনিম শাহরিয়ার। পাওয়ারপ্লেতেই আসে ৪৯ রান। প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন নাইম, ২৭ বলে ২৯ রান করে। তাকে ফেরান শরিফুল ইসলাম। তিন নম্বরে নেম নাজমুল হোসেন শান্তও ছিলেন সাবলীল, তবে এদিন সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছেন মুনিম। প্রায় দুইশ স্ট্রাইক রেটে এই ডানহাতি ওপেনারের ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ৯২ রান। মুনিম শাহরিয়ার অফিসিয়াল নাম হলেও সতীর্থরা তাকে জুম্মন নামেই ডাকে , এই জুম্মনই এখন পর্যন্ত এবারের ডিপিএলে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ব্যাক্তিগত ইনিংস খেললেন । তার ব্যাটে ১৮৩ রানের সংগ্রহ পায় আবাহনী, পায় জয়ের ভিত। ম্যাচসেরার পুরস্কারও গেছে জুম্মনের ঝুলিতে।
বিকেএসপিতে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় খেলাঘর। মাসুম খান টুটুলের অর্ধশতকে খেলাঘরের বোর্ডে রান ১৩৮। গাজী গ্রুপের মুমিনুল নিয়েছেন ২ উইকেট। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে চাপে গাজী গ্রুপ। দুই ইনফর্ম ওপেনার শেখ মেহেদি হাসান এবং সৌম্য সরকার, দুজনই ফিরেছেন শুন্য রানে। হাল ধরার চেষ্টা করেন মুমিনুল হক এবং ইয়াসির আলী রাব্বি। রাব্বির বিদায়ের পর অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ক্রিজে এসে রানের চাকা সচল করেন। মুমিনুল দলীয় ৫৪ রানে ফিরে গেলে রিয়াদকে সঙ্গ দেন আকবর আলী। আকবর ফিরে গেছেন, কিন্ত অবিচল ছিলেন রিয়াদ। নিজের অর্ধশতক পূরণের পাশাপাশি নিশ্চিত করেছেন দলের জয়। ২ ছক্কায় রিয়াদ করেছেন ৫৮, গাজী গ্রুপ জিতেছে ৫ উইকেটে।