সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের বোলিং বিভাগের অন্যতম ভরসার নাম পেস আক্রমণ। গত দুই বছরে নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছেন তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ ও মুস্তাফিজুর রহমানরা। বিশ্বকাপে বড় লক্ষ্য নিয়ে খেলতে গেছে বাংলাদেশ। যেখানে ভালো করতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে পেসারদের। কিন্তু, প্রথম দুই ম্যাচ শেষে তাসকিন-মুস্তাফিজরা দিতে পারেননি সামর্থ্যের প্রমাণ।
নতুন বলে উইকেট নিতে পারছে না টাইগার পেসাররা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে প্রথম ব্রেক-থ্রু অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এনে দিয়েছিলেন। সেই ম্যাচে মেহেদী হাসান মিরাজসহ নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। যার কারণে পেসারদের ব্যর্থতা খুব একটা সামনে আসেনি।
নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেও পাওয়ারপ্লেতে কোনো উইকেট নিতে পারেনি পেসাররা। গত কয়েক বছরে দারুণ পারফর্ম্যান্স করে টাইগার পেসারদের নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তাসকিন। কিন্তু, তিনিও পারছেন না দলের প্রয়োজনে ব্রেক থ্রু এনে দিতে। জস বাটলারদের বিপক্ষে তাকে দিয়ে মাত্র ৬ ওভার বল করিয়েছেন সাকিব। এ থেকেই বোঝা যায় তাসকিনের পারফর্ম্যান্স সন্তুষ্ট করতে পারছে না টিম ম্যানেজমেন্টকে। তবে খুব একটা খারাপ করেননি বাঁহাতি পেসার শরীফুল ইসলাম। প্রথম দুই ম্যাচে ৫ উইকেট শিকার করেছেন তিনি।

টাইগার পেসারদের ব্যর্থতায় হতাশা ঝড়েছে হেডকোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের কন্ঠে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হারের পর তিনি বলেন, “টানা দুই ম্যাচে পেসাররা এমন বিবর্ণ কেন, বুঝতে পারছি না”
প্রথম দুই ম্যাচে খারাপ করলেও পেসাররা নিজেদের উপর থেকে ভরসা হারাচ্ছেন না। তবে নিজেরা ভালো করতে পারেননি স্বীকার করে নিয়েছেন তাসকিন। তিনি বলেন, “আমরা পারিনি, এটাই হলো শেষ কথা। অজুহাত দিয়ে লাভ নেই। এর চেয়ে খারাপ কন্ডিশনেও আমরা এর চেয়ে ভালো বোলিং করেছি”
একটা সময় বাংলাদেশ স্পিন নির্ভর দল ছিল, কিন্তু তাসকিন, শরীফুল-মুস্তাফিজদের গত দুই বছরের পারফর্ম্যান্সে সেই ধারণা বদলেছে। ২০২১ সালের শুরু থেকে যদি ধরেন, ৪৭ ম্যাচে বাংলাদেশের স্পিনাররা যেখানে ১৪৯ উইকেট নিয়েছেন, পেসাররা নিয়েছেন ১৯৪ উইকেট। এই সময়ে স্পিনারদের চেয়ে ১০০ ওভারেরও বেশি বোলিং করেছেন। এটাও তো পেসারদের ভরসা হয়ে ওঠারই প্রমাণ।
বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চেও ভালো করুক তাসকিন-শরীফুলরা এমনটাই চাওয়া ক্রিকেট বিশ্লেষক ও সমর্থকদের। পেসাররা ভালো করলেই তো বড় স্বপ্নের পথে এগোতে পারবে টিম টাইগার্স।