নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে প্রথম দিন শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩১০ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। ১২ রান করে অপরাজিত আছেন শরীফুল ইসলাম, তাইজুল ইসলামের সংগ্রহ ৮ রান।
যে ভয়টা শুরু থেকেই ছিল, শেষ পর্যন্ত সেটাই হলো। ইশ সোধি-এজাজ প্যাটেলদের স্পিনে ধরাশয়ী হয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটাররা। অন্যভাবে বললে কিউই বোলারদের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত-মুশফিকুর রহিমরা। অথচ মাহমুদুল হাসান জয়ের দারুণ ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহের পথেই ছিল বাংলাদেশ।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতে একটুও দেরি করেননি শান্ত। লক্ষ্যটা পরিষ্কার, সিলেটের উইকেটে যতটা সম্ভব বড় স্কোর গড়ে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের স্পিন দিয়ে ঘায়েল করা। সেই লক্ষ্যে ব্যাটিং ইনিংসের শুরুটাও হয়েছিল দারুণ। প্রথম উইকেট জুটিতে জয় ও জাকির মিলে তোলেন ৩৯ রান।

ইনিংসের শুরু থেকেই নড়বড়ে ছিলেন জাকির। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই তার বিপক্ষে রিভিউ নিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। যদিও বল প্যাডে লাগার আগে ব্যাটে লাগায় বেঁচে যান টাইগার ওপেনার। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১২ রান করে প্যাটেলের দারুণ ঘুর্ণিতে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। উইকেটে আসার পর থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করেছেন শান্ত। ছক্কা দিয়ে রানের খাতা খুলেছেন তিনি। দারুণ ব্যাটিং করতে থাকা টাইগার অধিনায়ক গ্লেন ফিলিপসের ফুলটস বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন শান্ত। তার আগে করেছেন ৩৫ বলে ৩৭ রান।
চার নম্বরে উইকেটে আসার পর থেকে দারুণ খেলেছেন মুমিনুল হক। নিউজিল্যান্ড বাঁহাতি ওপেনারের অন্যতম প্রিয় প্রতিপক্ষ। এর আগে ঘরের মাঠে দুই টেস্টে কিউইদের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। এদিনও দারুণ ব্যাটিং করছিলেন। তবে ৩৭ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। মুমিনুল ফেরার পর ৫ বলের মাথায় প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন জয় (৮৬)। এর আগে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে যে টেস্ট ম্যাচ কিউইদের বিপক্ষে জিতেছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচেও ৭৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।

তেমন কিছুই করতে পারেননি মুশফিক। উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন তিনি। কিউইদের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া শাহাদত হোসেন দিপুও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ২৪ রান করে ফিলিপসের বলে শট মিড উইকেটে হেনরি নিকোলসকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি। শেষ দিকে নুরুল হাসান সোহান দারুণ ব্যাটিং করেছেন। ২৮ বলে ২৯ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৪টি উইকেট শিকার করেছেন গ্লেন ফিলিপস। দুটি উইকেট নিয়েছেন এজাজ প্যাটেল ও কাইল জেমিসন। একটি উইকেট শিকার করেছেন ইশ সোধি।