২৭ জুলাই ২০২৪, শনিবার

তিন ম্যাচে তিন জয় ইতালির; তুরস্ককে সুইজারল্যান্ডের তিন গোল

- Advertisement -

ইউয়েফা ইউরোতে রবিবার জিতেছে ইতালি ও সুইজারল্যান্ড। হেরেও দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করেছে ওয়েলস, ইউরো ২০২০ থেকে বাদ পরা প্রথম দল তুরস্ক।

ইউয়েফা ইউরো ২০২০ এর কোয়ালিফাইয়ার রাউন্ডে ফ্রান্সের সাথে “এইচ” গ্রুপ থেকে কোয়ালিফাই করেছিল তুরস্ক। ১০ ম্যাচে জয় ৭, ড্র দুটি আর হার ১ট ম্যাচে। ফ্রান্সকে এক ম্যাচে হারানো এবং অন্য ম্যাচে ড্র করা তুরস্ক এবারের ইউরো আসরে এসেছিল অনেক প্রত্যাশা নিয়ে। অনেকের মতে তুরস্ক হতে পারতো এবারের আসরের “ডার্ক হর্স”, কিন্তু সব প্রত্যাশায় গুঁড়েবালি! ইউরো ফাইনালের প্রথম দুই ম্যাচে ৫ গোল খাওয়া তুরস্ক গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচেও সুইজারল্যান্ডের কাছে ২ গোলে হেরে ইউরোর এবারের আসরের বাদ পরা প্রথম দল।

আজারবাইজানের বাকু অলিম্পিক স্টেডিয়ামে জিতলে পরের রাউন্ডে যাওয়ার সম্ভাবনা এবং হারলেই বাদ সমীকরণ নিয়ে মাঠে নেমেছিল তুরস্ক। আর সুইজারল্যান্ডের জন্য গ্রুপের তিন নম্বরে থাকতে কমপক্ষে ড্র করতে হতো এই ম্যাচ। সুইজারল্যান্ড তাদের কাজ ঠিকমতো করতে পারলেও পারেনি তুরস্ক। ম্যাচের ৬ মিনিটেই তুরস্ক ডি-বক্সের সামান্য বাইরে থেকে স্টিভেন জুবারের বাড়ানো বল ধিরে-সুস্থে জালে পাঠান বেনফিকা ফরোয়ার্ড হারিস সেফেরোভিচ। ম্যাচের ২৫ মিনিট পার হতেই সুইজারল্যান্ড তাদের লিড ডাবল করে। সুইজারল্যান্ডের লিভারপুল মিডফিল্ডার জের্দান শাকিরি তার ট্রেডমার্ক জোড়ালো শটে বল জালে পাঠান। প্রথম গোলের মতো এই গোলেরও কারিগর ছিলেন স্টিভেন জুবার। সুইজারল্যান্ডের ২-০ লিডে বিরতিতে যাওয়ায় সুইস গোলি ইয়ান সোমেরের ভূমিকাও ছিল অনেক। গোলমুখে আসা একটি শটও জাল পর্যন্ত পোঁছুতে দেননি বরুশিয়া মনশেনগ্লাডবাখে খেলা এই স্টপার।

 

“এ” গ্রুপের অপর ম্যাচে গ্যারেথ বেলের ওয়েলসের বিপক্ষে মাঠে নামে এই আসরে এপর্যন্ত কোনো গোল না খাওয়া ইতালি, যদিও ম্যাচের ৮০ মিনিটে গ্যারেথ বেল তার ভলি ক্রসবারের ওপর দিয়ে না মারলে ১১ ম্যাচে প্রথম গোল যেতে পারতো ইতালির জালে। এদিনও টুর্নামেন্টে তাদের ভালো ফর্ম বজায় রেখে আগে লিড নেয় মানচিনির দল। ম্যাচের ৪০ মিনিটে মার্কো ভেরাত্তির ক্রস থেকে ডান পায়ের জোড়ালো ভলিতে টুর্নামেন্টে নিজের প্রথম ও দলের ৭ নম্বর গোল করেন আটালান্টা মিডফিল্ডার মাতেও পেসিনা। বিরতির পর ফেদেরিকো বের্নার্দেসচিকে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড খেয়ে মাঠ ছাড়েন ওয়য়েলস সেন্টারব্যাক ইথান আমপাদু।

দুই মাঠে দুই আলাদা খেলা চললেও এদিন গ্রুপের ২ নম্বরে যাওয়ার লড়াইটা জমে ওঠে ওয়েলস ও সুজারল্যান্ডের মধ্যে। রোমে ১০ জনের দলে পরিণত হয়ে ওয়য়েলস যখন সুইজারল্যান্ডের সাথে গোল ব্যবধান বজায় রাখার অংকে হিমশিম খাচ্ছিলো ঠিক তখনই বাকুতে সুইসদের জালে এক গোল পরিশোধ দিয়ে ওয়েলসের সাথে সুইজারল্যান্ডের গোল ব্যবধান ৩ করেন তুরস্কের ইরফান কাভেচি। ৬২ মিনিটে তার এই গোল তুরস্কের ম্যাচে ফেরার আশা জাগালেও তা ছিল ক্ষনস্থায়ি। ৬৮ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলে জের্দান শাকিরি ম্যাচ অনেকটাই নিশ্চিত করে ফেলেন; এবারও এসিস্টে ছিলেন এডাম জুবার, ছিল ম্যাচে তার ৩ নম্বর অ্যাসিস্ট। এই গোলে শাকিরি এক ঢিলে দুই পাখি মারার মতোই ওয়য়েলসের সাথে গোল ব্যবধানও কমিয়ে নিয়ে আসেন দুইয়ে, সাথেই সুইস জার্সিতে ৭ গোল দিয়ে মেজর কোনো টুর্নামেন্টে সুইজারল্যান্ডের সর্বোচ্চ  গোলস্কোরার হন বিশ্বকাপে হ্যাট্রিক করা এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার

গ্রুপে ২নম্বরে ওঠার লড়াইয়ে এদিন প্রাণপন প্রচেষ্টা চালায় সুইজারল্যান্ড। গোলের আশায় সুইসরা এদিন শট নেয় ২৩টা! যার ১০টিই ছিল গোলমুখ বরাবর। অপরদিকে রোমে ওয়েলস মনোযোগ দেয় গোল আটকানোতে। ইতালি ওয়েলসের ম্যাচে ১-০ স্কোরলাইন নিয়ে দুদলই খুশি ছিল কিনা কেজানে, ম্যাচের ৮৫ মিনিটের পর  দুদল মিলিয়ে সাবস্টিউশান হয়েছে মোট ৫টি। এদের মধ্যে মধ্যে ছিল ইতালির গোলকিপারও। পরের রাউন্ড নিশ্চিত জেনে রোমে যখন ইতালি-ওয়েলস বেঞ্চের শক্তি পরখ করছিলো, বাকুতে শেষ মিনিট পর্যন্ত গোলের জন্য মরিয়া ছিল দুদল। তবে শেষ পর্যন্ত সুইজারল্যান্ড ৩-১ গোলের জয়ে এবং ওয়েলস ১-০ গোলের হারে শেষ করে ম্যাচ।

“এ” গ্রুপ থেকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইউরোর পরের রাউন্ডে উঠলো শেষ ১১ ম্যাচে ৩২ গোল দিয়ে কোনো গোল হজম না করা ইতালি। পরের রাউন্ডে তাদের সঙ্গী ওয়েলস। অপরদিকে, সুইজারল্যান্ড জিতেও তাদের তাকিয়ে থাকতে হবে গ্রুপের সেরা ৩নম্বর দলদের মধ্যে একটা হয়ে পরের রাউন্ডে যাওয়ার সুযোগের দিকে।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img