২৭ জুলাই ২০২৪, শনিবার

তুষার ইমরানের সেঞ্চুরি, ১২ হাজার রানের জন্য দরকার ৮০ রান

- Advertisement -

জাতীয় লিগের প্রথম রাউন্ডে সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ ছিল তুষার ইমরানের, এক রানের জন্য। সেই আক্ষেপকে চাপা দিয়েছেন দ্বিতীয় রাউন্ডেই। প্রথম দিনই সেঞ্চুরি পেয়ে গেছেন। জাতীয় লিগের রান মেশিন বলা হয় তুষার ইমরানকে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তুষার ইমরান নিজের রানকে এমন উচ্চতায় রেখে যেতে চান যেখানে কেউ যেন সহজেই পৌঁছতে না পারে। সেজন্য ১২ হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছেই হয়তো ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন এমন ইঙ্গিতই দিয়েছেন। ১২ হাজার রান থেকে আর মাত্র ৮০ রান দূরে তুষার ইমরান। জাতীয় লিগ শুরু করেছিলেন ২৯৬ রান দূরে থেকে। প্রথম রাউন্ডে ৯৯ আর দ্বিতীয় রাউন্ডে ১১৬ রান করেছেন। রংপুরের বিপক্ষে ২২১ রান করে অলআউট হয় খুলনা। যার মধ্যে ১১৬ রানই তুষারের। ৬ উইকেট নেন মুকিদুল ইসলাম। ব্যাটিংয়ে নেমে রংপুর তুলেছে তিন উইকেটে ১০৩ রান, পিছিয়ে আছে ১১৮ রানে।

স্কোর: খুলনা ২২১ (তুষার ইমরান ১১৬, সোহান ৩১) মুকিদুল ৬/৬৪ এবং রংপুর ১০৩/৩

কক্সবাজারের শেখ কামাল ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম একাডেমি গ্রাউন্ডে সিলেটের হয়ে সেঞ্চুরি করেছেন জাকির হাসান। ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে তাদের ব্যাটিংয়ের শুরুটা হতাশার ছিল। ৫০ রানের আগেই তিন উইকেট হারায়। চতুর্থ উইকেটে ১৫০ রানের জুটিতে সিলেটকে এগিয়ে রাখেন জাকির হাসান এবং জাকের আলী অনিক। ১৬১ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন জাকির হাসান। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরি। ১৫৯ রান করে আউট হয়েছেন। জাকের করেন ৬৭ রান। দু’জনকেই ফিরিয়েছেন শুভাগত হোম। দিন শেষে সিলেটের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২৮২ রান।

স্কোর: সিলেট ২৮২/৬ ( জাকির হাসান ১৫৯, জাকের আলী ৬৭)

কক্সবাজারের মূল স্টেডিয়ামে খেলছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ। সেখানেও সেঞ্চুরি হয়েছে। চট্টগ্রামের হয়ে সেঞ্চুরি পেয়েছেন পিনাক ঘোষ। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই উইকেট হারালেও দিনটা তারা শেষ করেছে বেশ স্বস্তিতেে। পিনাক ঘোষের সেঞ্চুরিতে চার উইকেটে ২৮১ রান করে প্রথম দিন শেষে করেছে চট্টগ্রাম। সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে পিনাক খেলেন ১৮৭ বল। এখন দেড়শোর পথে আছেন। তবে এক রানের জন্য হাফ সেঞ্চুরি মিস করেছেন ইয়াসির আলী। তবে বাংলাদেশে টেস্ট দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক আবারো ব্যর্থ। মাত্র ১১ রান করে আউট হন।

স্কোর: চট্টগ্রাম ২৮১/৪ ( পিনাক ঘোষ ১৩৭*, ইয়াসির ৪৯, শাহাদাত হোসাইন দিপু ৩২*)

তিন ম্যাচ ভেন্যুতে তিনটা সেঞ্চুরি হয়েছে। কিন্তু বিকেএসপিতে বোলারদের দিনটা ছিল। প্রথম দিনই ২১ উইকেটে পড়েছে। দুইবার ব্যাটিংয়ে নেমেছে বরিশাল। প্রথমবার ব্যাটিংয়ে নেমে একশো রান করতেও ব্যর্থ হয়। তাইজুল-সানজামুলদের বোলিংয়ে তাদের ইনিংস শেষ হয় ৮২ রানে। চারটি করে উইকেট নেন সানজামুল-তাইজুল।

বরিশালকে গুটিয়ে দিয়ে সুবিধা করতে পারেনি রাজশাহী। তারাও অলআউট দেড়শো করার পরই। রাজশাহীর ব্যাটসম্যানদের একাই সামলিয়েছেন স্পিনার সোহাগ গাজী। ২৩ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৬ উইকেট নেন। জুনায়েদ সিদ্দিকী সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন।

শেষ বেলায় দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে আবারো দ্রুত অলআউট হওয়ার সম্ভাবনা ধরে রেখেই দিন শেষ করেছে বরিশাল। ৪৬ রানে পিছিয়ে এখনো তারা। হাতে আছে ৯ উইকেট।

স্কোর: বরিশাল ৮২ ( সানজামুল ৪/১৮, তাইজুল ৪/৩৯) ও ২৩/১ এবং রাজশাহী ১৫১ ( সোহাগ গাজী ৬/৬৫)

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img