দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদের মাটিতে একাধিক ওয়ানডে সিরিজে হারানোর এতোদিন রেকর্ড ছিল শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়ার। এবার সেই রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছে পাকিস্তান। তবে এশিয়ার কোন দল হিসেবে এটাই প্রথম কীর্তি। পাকিস্তান ২০১৩ সালের পর এবার সিরিজ জিতে নতুন রেকর্ড গড়েছে। দুটি সিরিজই তিন ম্যাচের, ফলাফল ২-১ ব্যবধান। সেঞ্চুরিয়নে সিরিজের শেষ ম্যাচে ২৮ রানে জিতেছে পাকিস্তান। সেই সঙ্গে বিশ্বকাপ সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলে বিশ পয়েন্ট যোগ করেছে পাকিস্তান। ৪০ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় তারা এখন দ্বিতীয় স্থানে।
A 2-1 win in the ODI series against South Africa has taken Pakistan to No.2 in the ICC Men’s @cricketworldcup Super League table ? ?
Check out ➡️ https://t.co/CPPx2MDCIe pic.twitter.com/vHVtHEwtqq
— ICC (@ICC) April 7, 2021
তৃতীয় ম্যাচটা সিরিজের অঘোষিত ফাইনাল। সেখানে দু’দলে ১১টা পরিবর্তন। স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা বলতে গেলে দ্বিতীয় সারির দল নামায়, একাদশে ৭টা পরিবর্তন করে। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১৯৩ রানের রেকর্ড ইনিংস খেলা ফখর জামান এবার করলেন ১০৪ বলে ১০১ রান। পাকিস্তান অধিনায়ক বাবরের ব্যাট থেকে এসেছে ৮৪ বলে ৯৪ রান। শেষ দিকে হাসান আলির ১১ বলে ৩২ রানের ক্যামিও ইনিংসে তিনশ পার করে পাকিস্তান। পাকিস্তানের প্রথম ব্যাটসম্যান দক্ষিণ আফ্রিকায় তিন ম্যাচ সিরিজে সবচেয়ে বেশি রান করার রেকর্ড গড়েছেন ফখর জামান।
সেঞ্চুরিয়নে আগে ব্যাট করে পাকিস্তান। ওপেনিং জুটি থেকে আসে ১১২ রান, বড় স্কোরের ভীত গড়ে দেন ফখর জামান এবং ইমাম উল হক। ইমামকে ফিরান মহারাজ। এরপর ফখরের জুটি হন বাবর আজম। তাদের পার্টনারশিপ ৯৪ রান। ১১২ থেকে ২০৬, পাকিস্তান হারায় মাত্র দুই উইকট। ফখর জামানকে সেঞ্চুরির পরই কট বিহাইন্ড করে সেই মহারাজ। তার আগে ফখর তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৬ষ্ঠ সেঞ্চুরি। তারপরই পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে কিছুটা ধ্বস নামে। ২৫৭ রান তুলতেই আরো চার উইকেট হারায় তারা। কিন্তু শেষ দিকে বাবর আজমের সাথে জুটি বেঁধে ব্যাটে ঝড় তুলেন পেস বোলার হাসান আলী। ১১ বলে চার ছক্কায় ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন। বাবর আজমের আক্ষেপ ছিল। সেঞ্চুরি থেকে ৬ রান দূরে থেকে আউট হন। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৩২০ রান।
৩২১’র টার্গেটটা শুরুতেই কঠিন করে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকা। দেড়শো হওয়ার আগেই ৫ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। কিন্তু ভেরেইন ও ফেলুকওয়ায়ো জুটি থিতু হয়ে যায়। এই জুটির ১০৮ রানের পার্টনারশিপ দক্ষিণ আফ্রিকাকে জয়ের স্বপ্নও দেখায়। কিন্তু পরপর দুই ওভারে দু’জনের বিদায়ে পাকিস্তানের হারার শংকা দূর হয়। ভেরেইন ৬২ এবং ফেলুকওয়ায়ো ৫৪ রান। প্রোটিয়াদের ইনিংস থামে ২৯২ রানে। ৩টি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ নাওয়াজ এবং শাহিন আফ্রিদী।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান ৩২০/৭
দক্ষিণ আফ্রিকা ২৯২