চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরমের উইকেটে বরাবরই স্পিনারদের জন্য কিছু না কিছু থাকেই। সেই আশায় একাদশে তিন স্পিনার একাদশে রেখেছিল ভারত। টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন কুলদ্বীপ যাদব-রবীন্দ্র জাদেজা-রবীচন্দ্রন অশ্বিন। তিন স্পিনারের ঘূর্ণি ও পেসারদের দারুণ বোলিংয়ে ১৯৯ রানে গুটিয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া।
বড় রানের আশায় টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্দান্ত নিয়েছিলেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। তবে শুরুতেই ওপেনার মিচেল মার্শের উইকেট হারিয়েছে তারা। রানের খাতা খোলার আগে জাসপ্রিত বুমরাহর বলে স্লিপে বিরাট কোহলিকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন অজি ওপেনার।
এরপর উইকেটে এসে ডেভিড ওয়ার্নারকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছেন স্টিভ স্মিথ। মোহাম্মদ সিরাজ-জাসপ্রিত বুমরাহদের বলে দারুণ ব্যাটিং করেছেন দুজনে। ভারতীয় বোলারদের বাজে বল পেলেই বাউন্ডারিতে পরিণত করেছেন তারা। দুজনে মিলে ৮৫ বলে গড়েন ৬৯ রানের জুটি। ওয়ার্নারকে আউট করে সেই জুটি ভাঙেন কুলদ্বীপ। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে বাঁহাতি ওপেনারের ব্যাট থেকে আসে ৫২ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৪১ রান।

এরপর মারনাস লাবুশেনের সাথে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন স্মিথ। দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে ফিফটির দিকে ছুটছিলেন তিনি কিন্তু জাদেজার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনিও। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ৭১ বলে ৫ বাউন্ডারিতে করেন ৪৬ রান।
শুরুটা ভালো করেও ইনিংস বড় করতে পারেননি লাবুশেন। ৪১ বলে ১ বাউন্ডারিতে ২৭ রান করে ফেরেন তিনি। রানের খাতা খোলার আগে জাদেজার বলে এলবিডব্লিউ হন অ্যালেক্স ক্যারি। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও পারেননি অজিদের সংগ্রহ বাড়াতে। শেষ দিকে এসে ৩৫ বলে ২ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ২৮ রানের ইনিংস খেলেন মিচেল স্টার্ক।
ভারতের হয়ে ১০ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেছেন রবীন্দ্র জাদেজা। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন জাসপ্রিত বুমরাহ ও কুলদ্বীপ যাদব। একটি করে উইকেট শিকার করেন রবীচন্দ্রন অশ্বিন, মোহাম্মদ সিরাজ ও হার্দিক পান্ডিয়া।