প্রথম সেশনে টাইগার বোলারদের দাপট চললেও দ্বিতীয় সেশনেই বদলেছে দৃশ্যপট, চালকের আসনে নিজেদের বসিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দ্রুত রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করার ভাবনা মস্তিস্ক জুড়ে, সেটা অনুমান করাই যাচ্ছিল ততোক্ষণে। বোলাররা সুবিধা আদায় করে নিতে পারছিলেন না বলেই হয়তো বল হাতে তুলে নিলেন অধিনায়ক মুমিনুল হক নিজেই, মাথা থেকে খুললেন না ক্যাপটাও।
প্রথম ওভারে দুই বাউন্ডারিতে দিলেন দশ রান, দ্বিতীয় ওভারে বল করতে এসে প্রথম বলেই হজম করতে হয়েছে লাথামের ব্যাটের ছক্কা, পরের বলে চার। কিউই অধিনায়কের রান তখন ২৪৬, অপেক্ষা আরেকটা মাইলফলক স্পর্শ করার। তৃতীয় বলে মিড উইকেট দিয়ে মারলেন তুলে এবং ছক্কা; সেইসাথে ২৫০ রান পূর্ণ। চতুর্থ বলটাতেও চেষ্টা করলেন তুলে মারার, কিন্তু এবারে মিস টাইমিং হয়ে স্কয়ার লেগে ইয়াসির আলীর তালুবন্দী।
২৫২ রানে যখন লাথাম মাঠ ছাড়ছেন, তখন পুরো স্টেডিয়ার জুড়ে করতালির আওয়াজ। ইয়াসির দৌড়ে এসে হাতটা মিলিয়ে গেলেন কিউই অধিনায়কের, টেস্ট ক্রিকেটের সৌন্দর্যতাটাই বোধহয় এখানে। এজন্যই হয়তো ক্রিকেট ভদ্রলোকদের খেলা।