আইসিসির দূর্নীতি বিরোধী ধারা ভঙ্গ করায় দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন অলরাউন্ডার নাসির হোসেন। এ সময় সব ধরণের ক্রিকেটের বাইরে থাকতে হবে তাকে। ২০২১ সালে আবুধাবি টি-টেন লিগে খেলার সময় অপরিচিত একজনের কাছ থেকে গিফট নিয়েছিলেন নাসির। যার কারণে গত বছরের সেপ্টেম্বরে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছিল আইসিসির দূর্নীতি দমন কমিশন।
নাসির দুই বছরের শাস্তি পেলেও সেখান থেকে ৬ মাসের সাজা স্থগিত করেছে আইসিসি। তাতে দেড় বছরের জন্য সব ধরণের ক্রিকেট থেকে নির্বাসনে যেতে হবে নাসিরকে।
গত বছর যখন নাসিরের বিপক্ষে অভিযোগ আনা হয় তখন আইসিসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, আবুধাবি টি-টেন লিগে আটজনের বিরুদ্ধে ম্যাচ গড়াপেটার ব্যর্থ চেষ্টাসহ বিভিন্ন তথ্য গোপন এবং তদন্তে অসহযোগিতা করার অভিযোগ রয়েছে। ২০২১ সালে আবুধাবি টি-টেন লিগে পুনে ডেভিলসে খেলা বাংলাদেশের অলরাউন্ডার নাসিরে হোসেন ওই আট অভিযুক্তের মধ্যে অন্যতম। নাসিরে বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ এনেছিল আইসিসির দূর্নীতি দমন কমিশন।
১. তদন্তে অসহযোগিতা: সম্ভাব্য দুর্নীতিমূলক আচরণের বিষয়ে DACO পরিচালিত তদন্তে সহযোগিতা করতে ব্যর্থ হয়েছেন বা প্রত্যাখ্যান করেছেন নাসির হোসেন। আইসিসি দূর্নীতি দমন কোডের অধীনে তদন্তকারীদের সহায়তা করার যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে, নাসির সেই বাধ্যতামূলক কাজটি করেননি। (আর্টিকেল ২.৪.৬)
২. দূনীর্তির প্রস্তাব গোপন: আইসিসি দূর্নীতি দমন কোডের অধীনে দুর্নীতিমূলক কাজে জড়িত হওয়ার যে প্রস্তাব পেয়েছেন, তার সম্পূর্ণ বিবরণ DACO-র কাছে প্রকাশ করতেও ব্যর্থ হয়েছেন নাসির, পাশপাশি কি কারণে বিবরণ প্রকাশ করতে পারেননি, তার যুক্তি সঙ্গত কোন ব্যাখ্যাও দিতে পারেননি। (আর্টিকেল ২.৪.৪)
৩. উপহার নেয়া: ৭৫০ মার্কিন ডলার বা তারও বেশি মূল্যের উপহার নিয়েছেন নাসির হোসেন। যদিও সেই তথ্য DACO-র তদন্তকারী কর্মকর্তাদের জানাননি। (আর্টিকেল ২.৪.৩)