টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল থেকে কোন যুক্তি না দেখিয়েই তাঁকে ফেরত পাঠানো হয়েছিলো। এর আগে বাবার অসুস্থতার কারণে বায়োবাবল থেকে বের হয়ে যাওয়ার দরূন ৩টি সিরিজ খেলতে পারেননি। সমর্থকরা বহুদিন ধরে অপেক্ষা করে আসছিলেন জাতীয় দলের একাদশে এই লেগস্পিনারের উপস্থিতি দেখার জন্য। চলতি সিরিজে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে একাদশে সুযোগ পেলেও শেষ ওভারে মাত্র ২ বলের জন্য তার হাতে বল তুলে দেওয়ায় সমর্থকরা অধিনায়ক রিয়াদকে সমালোচনায় বিদ্ধও করেছিলেন।
অবশেষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আমিনুল ইসলাম বিপ্লবকে ‘মনের মতো’ করে পেলো সমর্থকেরা, যদিও বিপ্লব বোলিং দিয়ে মোটেই মন ভরাতে পারেননি। প্রথম বলটিই ছিলো শর্ট, রিজওয়ানের ব্যাটে লেগে উইকেট ভেঙ্গে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা ছিলো; ঐটুকুই। এরপর একের পর এক শর্ট বল, হাফভলি, ফুলটসে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ফখর জামানকে মনের সুখে মারার সুযোগ করে দিয়েছেন। ৪ ওভার বল করে দিয়েছেন ৩০ রান, খুব সহজেই যা হতে পারতো আরো বেশি।
তবে লেগস্পিনাররা যে খারাপ বোলিং করলেও উইকেট পায় বা পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে, সেই নিয়ম মেনে বিপ্লবও দুই দুইবার উইকেট নেওয়ার সুযোগ করেছেন। তবে একবার সাইফ হাসান ফখর জামানের ও আরেকবার তাসকিন মোহাম্মদ রিজওয়ানের সহজ ক্যাচ ছেড়েছেন। অবশেষে দানে দানে তিন দান করে তৃতীয়বারের চেষ্টায় রিজওয়ানের উইকেট পান বিপ্লব। পয়েন্টে তাঁর ক্যাচটি নেন আগেরবার মিস করা সাইফ হাসানই।
অবশ্য ততক্ষণে বেশ দেরি হয়ে গেছে। পাকিস্তান পৌঁছে গেছে জয়ের থেকে কয়েক কদম দূরেই।