ম্যাচের আগে রাতে বৃষ্টি, সঠিক সময়ে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে কি না তা নিয়ে দুশ্চিন্তা। সেইসাথে, প্রতিপক্ষ যখন ইংল্যান্ড, তখন আলাদা একটা চাপ তো থাকেই। শেষ অব্দি ম্যাচ সঠিক সময়েই শুরু হয়েছে, এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে শুরুতে যেটা সবচেয়ে জরুরী ছিল বাংলাদেশের জন্য- টস, সেটাই পক্ষে এসেছে। ধর্মশালায় নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে টসে জিতে সাকিব আল হাসান ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত জানাতে এক মুহূর্তও অপেক্ষা করেননি। এই মাঠে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করা দল সুবিধা পায় সবসময়ই, সেটা মেনে নিয়েছেন জস বাটলারও।
টস জেতার পর সাকিব বলেছিলেন, “আমাদের পেসাররা যদি দারুণ একটা শুরু এনে দিতে পারে, তাহলে এই ম্যাচে ভালো কিছু সম্ভব।” পেসাররা কতটুকু পেরেছে, তা বোধহয় স্কোরবোর্ড দেখে বোঝা যাবে না। পাওয়ারপ্লের দশ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ যে বিনা উইকেটে ৬১।
কিন্তু, মুস্তাফিজ-শরীফুলদের বলে কতটা ভুগেছে ইংলিশ ব্যাটাররা, সেটা ম্যাচে যারা চোখ রেখেছে তারাই একমাত্র ভালোমতো বুঝতে সক্ষম। একের পর এক ইনসুইং-আউটসুইং, বাউন্সার-কাটারে বেশ কয়েকবার পরাস্ত হয়েছেন দুই ইংলিশ ওপেনার ডাওয়িড মালান এবং জনি বেয়ারস্টো। উইকেটের সুযোগও তৈরী হয়েছে, ভাগ্য শুধু টাইগারদের পক্ষে আসেনি। উইকেটে সেট হয়ে নিজেদের সহজাত খেলাটা শুরু করতে বেয়ারস্টো-মালানও দেরী করেননি। প্রথম দশ ওভার শেষে বেয়ারস্টোর নামের পাশে তাই অপরাজিত ২৯, মালানের সংগ্রহ ৩২।