কেন উইলিয়ামসন সেঞ্চুরি পাবেন এটা প্রত্যাশিতই ছিল। আগের দিন বেশ কয়েকবার জীবন পাওয়া কিউই অধিনায়ক ইনিংসটাকে অবশ্য লম্বা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। সেঞ্চুরি থেকে ৬ রান দূরে ছিলেন প্রথম দিন শেষে। নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ২২২ রান।
উইকেটটা ব্যাটিং সহায়ক ছিল দ্বিতীয় দিনেও। তিন অংক ছুঁতে উইলিয়ামসনকে অপেক্ষা করতে হয় দিনের ৮ম ওভার পর্যন্ত। চার মেরে ক্যারিয়ারের ২৩তম সেঞ্চুরি করেন উইলিয়ামসন। তাঁর আগে হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান নিকোলস। ১৩৩ রানের জুটি ভাঙ্গেন নাসিম শাহ। নিকোলস আউট হন ৫৬ রানে।
নিউজিল্যান্ড মধ্যহ্ন বিরতিতে যায় আরো এক উইকেট হারিয়ে। কিউইদের সংগ্রহ তখন ৫ উইকেটে ৩০১ রান। উইলিয়ামনকে ১২৯ রানে থামান লেগ স্পিনার ইয়াসির শাহ।
কিউই অধিনায়ককে থামিয়েও রানের গতিতে বাধা হতে পারেননি পাকিস্তানের বোলাররা। পেস বোলার জেমিসনের সঙ্গে কার্যকরী এক পার্টনারশিপ গড়েন ওয়াটলিং। রান সংগ্রহে নিউজিল্যান্ড ছাড়িয়ে যায় ৪’শ। দিনের তৃতীয় সেশনটাও নিজেদের করে নেয় কিউইরা। শেষ বিকেলে অবশ্য অলআউট হয়েছে স্বাগতিকরা। ততক্ষণে হাফ সেঞ্চুরি করে ফেলেন ওয়াটলিং। ৬৬ রানের পার্টনারশিপ ভাঙ্গেন মোহাম্মদ আব্বাস। জেমিসন করেন ৩২ রান। আর ৭৩ রানে ওয়াটলিংকে বিদায় করে স্বস্তি ফেরান শাহিন আফ্রিদি। শেষ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৪৩১ রান।
ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা সাবধানে ব্যাট চালিয়েছেন। যদিও বিনা উইকেট দিন শেষ করতে পারেনি তারা। ওপেনার শান মাসুদকে তুলে নিয়ে দিন শেষে নিউজিল্যান্ডকে এগিয়ে রাখলো জেমিসন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউজিল্যান্ড ৪৩১ ( উইলিয়ামসন ১২৯, নিকোলস ৫৬, ওয়াটলিং ৭৩) আফ্রিদি ৪/১০৯ ইয়াসির ৩/১১৩
পাকিস্তান ৩০/১