আহমেদাবাদে দিবারাত্রির টেস্ট নিয়ে মানুষের মধ্যে আগ্রহ ছিল প্রবল। ঘাসের উইকেটে অ্যান্ডারসনের সুইং আর আর্চারের বাউন্সের আশাই ছিল সমর্থকদের। ভুল, আহমেদাবাদের উইকেটে দাপট দেখিয়েছে স্পিনাররা। মাত্র দেড় দিনেই শেষ হয়েছে ইংল্যান্ড-ভারত তৃতীয় টেস্ট।
আহমেদাবাদ টেস্টে বল হয়েছে ৮৪২টি, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে আরও ৬ ম্যাচে এরচেয়ে কম বল মাঠে গড়িয়েছে, তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আহমেদাবাদই প্রথম। সময়ের হিসেবে ৮৫ বছর।
আহমেদাবাদ টেস্টে দুই দল রান করেছে ৩৮৭। এশিয়াতে ফলাফল হয়েছে এমন ম্যাচে ৩৮৭ রানই সর্বনিন্ম। অন্যদিকে দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের করা ৮১ ভারতের বিপক্ষে তাদের সর্বনিন্ম। এর আগে কখনোই একশর নিচে অল আউট হয়নি থ্রি লায়ন্স, অবশ্যই ভারতের বিপক্ষে। এছাড়া দুই ইনিংস মিলিয়ে ইংল্যান্ডের রান ১৯৩, যা ভারতের মাটিতে প্রতিপক্ষ দলের সর্বনিন্ম।
ইংল্যান্ডের হারের দিনে রেকর্ড গড়েছেন রুট, ৮ রানের ৫ উইকেট। সবচেয়ে কম রানে ফাইফার পাওয়া স্পিনার এখন রুট। অন্যদিকে দ্বিতীয় দ্রুততম ৪০০ উইকেট অশ্বিনের, ৭৭ ম্যাচ; ছুঁয়েছেন আহমেদাবাদ টেস্টেই।
আহমেদাবাদ টেস্টের তৃতীয় এবং চতুর্থ ইনিংসে কোনো পেসার বল করেননি। এমন ঘটনা ঘটেছে কেবল আরেকবার। টেস্টে ‘ফেয়ার প্লে’ নিয়ে কথা হয় অনেক, আইসিসি আহমেদাবাদ টেস্ট দেখেছেতো?