প্রথম দিন যতটুকু খেলা হয়েছে সেই বিবেচনায় বাংলাদেশকেই খানিকটা এগিয়ে রাখলেন ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে আসা মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে এও বললেন, দ্বিতীয় সেশনে বাবর আজম ও আজহার আলী খুব ভালো পাল্টা জবাব দিয়েছেন।
শুরুটা ইবাদত হোসেন আর খালেদ আহমেদকে দিয়ে করালেও উইকেট আসেনি, এই দুই পেসার রানও দিয়েছেন দেদার, যদিও ইবাদত প্রথম ওভারেই একটি এলবিডাব্লিউয়ের আবেদন করেছিলেন। তবে নয় ওভার পরই স্পিনার আনতে বাধ্য হন অধিনায়ক মুমিনুল হক।
“ইবাদত যেভাবে বল করেছিল উইকেট টেকিং বলই হয়েছিলো। এরপর তাইজুল ভাই ও সাকিব ভাইও ভালো বল করেছেন। আমি মনে করি দিন শেষে আমরা ভালো অবস্থানেই আছি। ওদের দুই উইকেট ফেলেছি। শেষ সেশন যদি খেলা হতো ও শেষ বিকেলে আরো দুটি উইকেট পড়তো তবে আরো ভালো হত। অবশ্য পরের দিকে ওরা বেশ অ্যাটাকিং মুডে ব্যাটিং করেছে। তবে এখনো চারদিন বাকি আছে, ভালো খেলতে পারলে এই টেস্টে এখনো অনেক কিছু করা সম্ভব।” -বলেছেন মিরাজ
আগের টেস্টে যেখানে শেষ করেছেন পরের টেস্ট যেন সেখান থেকেই শুরু করেছিলেন তাইজুল ইসলাম। তাইজুলের সাথে অনেকদিন পর টেস্ট একাদশে ফেরা সাকিব আল হাসান জুটি বেঁধে চাপ প্রয়োগের কাজটি করেছেন দুর্দান্তভাবে। মিরাজের কন্ঠে দিনশেষে ঝড়লো দুই অগ্রজের জন্য প্রশংসা।
“তাইজুল ভাই খুবই ভালো ইমপ্যাক্ট ফেলেছে। টেস্ট ক্রিকেটে পার্টনারশিপ খুব ইম্পরট্যান্ট। সকালে আমাদের পেসাররা যেভাবে বল করেছে এক-দুটো উইকেট পড়েও যেতে পারতো। এরপর তাইজুল ভাই খুব ভালো ইমপ্যাক্ট ফেলেছেন। সাকিব ভাই তার সাথে জুটি গড়ে বোলিং করেছেন বলেই দুটো উইকেট পড়েছে। তবে সেকেন্ড সেশনে আমরা প্রেশার ক্রিয়েট করতে পারিনি।”
দুই পেসার এই মেঘাচ্ছন্ন কন্ডিশনেও ন্যুন্যতম প্রভাব ফেলতে পারেননি। অথচ শাহীন আফ্রিদি হাসান আলীরা হয়তো এই কন্ডিশনে হতের অপ্রতিরোধ্য। কারণটা কি পেসারদের পর্যাপ্ত ভেরিয়েশনের অভাব? সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মিরাজ বলেন,
“টেস্ট ক্রিকেটে ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টির মতো প্রতি ওভারে ভেরিয়েশন আনার চেয়ে টানা এক লাইন লেংথে ভালো জায়গায় বল করে যেতে হয়, সেট হতে হয়। টেস্ট ক্রিকেটে দুই তিন ওভার পরপরই উইকেট পড়বে না। ৫-৭ ওভার টানা বোলিং করার পর হয়তো আমি একটা ভেরিয়েশন আনব তাতে উইকেট পড়লেও পড়তে পারে, না পড়লে ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করে যেতে হবে।”