১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, সোমবার

নতুন জীবন পেল বিশ্বকাপে সেরা সাফল্যের স্বপ্ন

- Advertisement -

প্রস্তুতি ম্যাচ, তাতে কি? প্রতিপক্ষ দলের কেউই তো আর হারার জন্য খেলে না। নিশ্চিতভাবেই সবার মাঝেই কাজ করে ভালো করার তাড়না। সেই তাড়নাকে কেউ প্রশংসা জানাক কিংবা না জানাক, লিটনের ছন্দ ফিরে পাওয়া আর চাপের মুখে তানজিদ তামিমের এমন দুর্দান্ত ইনিংস নিশ্চিতভাবেই স্বস্তির।

২৬৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই তামিম-লিটনের ১৩১ রানের জুটি। ৬১ রানে লিটন প্যাভিলিয়নে ফিরে না গেলে রানের অঙ্কটা বড় হতো আরও। তা নিয়ে অবশ্য কারোর মন খারাপ থাকার কথা না। লিটন ঠিক সেভাবেই খেলেছেন, ছন্দে থাকা লিটন যেমন। অন্যদিকে, তানজিদ তামিম বাংলাদেশ দলে বিশ্বকাপে তামিম ইকবালের জায়গাতে। অনেক বড় দায়িত্ব, তার সাথে যোগ করুন গত কয়েকদিনের ঘটনাক্রম। ২২ বছরের তামিম এমন চাপেও যেভাবে ব্যাটিং করে গেছেন, সেটা শুধু তার সামর্থ্যই প্রমাণ করে না, নির্বাদকদের সিদ্ধান্তকেও সঠিক প্রমাণ করে। যদিও শেষবেলায় সেঞ্চুরি মিস করেছেন, কিন্তু ১০ চার আর ২ ছক্কায় ৮৮ বলে ৮৪ রানের এই ইনিংস তো দেশের ক্রিকেটের জন্যই বড় প্রাপ্তির, অনেকের অনেক প্রশ্নের জবাব।

এই দুইজনের বাইরে আরও একজনের প্রশংসা করতেই হয়। তিনি এই ম্যাচের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। বল হাতে মাত্র ৩২ রানে ১ উইকেট নেয়ার পর ব্যাট হাতে ৬৭* রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস! অধিনায়কত্ব অনেকের কাছে চাপের, মিরাজের জন্য যেন সবচেয়ে আনন্দের।

বোলারদের দারুণ কামব্যাকের পর ব্যাটারদের অসাধারণ নৈপুন্য; জয়টা তো বাংলাদেশের প্রাপ্য ছিলই। কত বল হাতে রেখে ম্যাচ জেতে সেটাই ছিল দেখার। আশার কথা হলো, ২৬৪ রান করতে বাংলাদেশ খেলেছে মাত্র ৪২ ওভার। আট ওভার হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে টিম টাইগার, সাত উইকেটের জয়। মুশফিকুর রহিম অপরাজিত ছিলেন ৩৫* রানে।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img