গত ছাব্বিশ জুন ঘোষনা আসে বাংলাদেশের নতুন ব্যাটিং কোচের। ক্রিকেট অপারেসন্সের চেয়ারম্যান আকরাম খান কোচ হিসেবে অ্যাশওয়েল প্রিন্সের নাম জানিয়েছিলেন। আকরাম খানের কথায় ইঙ্গিত পাওয়া যায় হেড কোচ ডোমিঙ্গোর বড় ভূমিকা ছিল প্রিন্সের নিয়োগের পেছনে।আকরাম খান আরও জানিয়েছিলেন প্রিন্স আপাতত দায়ীত্বে থাকবেন জিম্বাবুয়ে সিরিজে, ক্রিকেটাররা প্রিন্সের কাজে খুশি হলে পরবর্তীতে বাড়তে পারে তার চুক্তির মেয়াদ।
ক্রিকেটার প্রিন্স অনেকের কাছেই অচেনা হলেও তার ক্যারিয়ার প্রায় প্রায় নয় বছরের।মজার ব্যাপার হচ্ছে প্রিন্সের ওয়ানডে অভিষেক বাংলাদেশেরই সাথেই, দুই হাজার দুই সালে। ১৫২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে সেদিন প্রিন্স অপরাজিত ছিলেন ১৪ রানে। পরবর্তীতে ওয়ানডের চেয়ে টেস্টেই বেশি সফল ছিলেন অ্যাশওয়েল প্রিন্স। প্রোটিয়াদের হয়ে ৬৬ টেস্টে একচল্লিশ গড়ে করেছেন সাড়ে তিন হাজারের বেশী রান, টেস্ট ক্যারিয়ারে ১১টি করে সেঞ্চুরি ও হাফ সেঞ্চুরি করেছেন প্রিন্স। তবে রঙ্গীন পোশাকেও ক্যারিয়ারটা মন্দ নয়, বাহান্ন ম্যাচে করেছেন ১০১৮ রান, প্রিন্স রান তুলেছেন ৩৫ গড়ে।
বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর ক্রিকইনফোকে নিজের উচ্ছ্বাসের কথা জানিয়েছেন প্রিন্স।“আমি এই অল্প সময়ের কাজে ব্যাটসম্যানদের মাঝে কোনো পরিবর্তন আনার চেষ্টা করবোনা, আমার প্রাধান দায়ীত্ব হবে হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোকে যতোটা পারি সাহায্য করা। আমি ব্যাটসম্যানদের নিজস্ব টেকনিকে ভরসা রাখতে অভয় দিতে চাই। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করার সুযোগ প্রতিদিন আসেনা, তাই বাংলাদেশের সাথে কাজ করার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিতে পারিনি”
বাংলদেশের কোচিং প্যানেলে এখন সাউথ আফ্রিকানদেরই আধিপত্য। নতুন ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স সাবেক হওয়া মেকেঞ্জির শুন্যতা পূরন করতে পারবেন কি না কে জানে, তবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমর্থকরা চাইবেন প্রিন্সের হাত ধরেই রানে ফিরুক লিটন, শান্ত, মিঠুনরা।