১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, শনিবার

নিউজিল্যান্ড সফর: কোচ-অধিনায়কের চোখে ‘প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি’

- Advertisement -

বৃষ্টি আইনে শেষ টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৭ রানের হার। বছরের শেষ দিনে ঘুরেফিরে আবারো সেই পুরনো আক্ষেপ, বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং ব্যর্থতার মহড়ায় সিরিজ জয়ের ইতিহাস গড়া হলো না। সিরিজ ড্র করেও শেষ ম্যাচের অপ্রাপ্তির দিনে পুরো সিরিজ জুড়ে প্রাপ্তিও একেবারে কম না। ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি সব মিলে বাংলাদেশ সফল কতটা আর বিফলই বা কতটা? ম্যাচ শেষে টাইগারদের গুরু চন্ডিকা হাথুরুসিংহে এবং অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত শুনিয়েছেন প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির কথা।

“সিরিজের শুরুতেই আমরা বলছিলাম, আগে কী করেছি আর আমরা তার চেয়ে ভালো করতে চাই। এদিক থেকে এটা খুব সফল একটা সফর”-বলছিলেন হাথুরুসিংহে

তিন ম্যাচে ছয় উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা শরীফুল ইসলাম

বিদেশের মাটিতে আগের পারফর্ম্যান্স বিবেচনায় এ সিরিজে বাংলাদেশ সত্যিই সফল, সাথে প্রাপ্তির খাতায় যোগ হয়েছে শরীফুল ইসলাম-রিশাদ হোসেনের নৈপূণ্য। এই দুই বোলারের প্রশংসা করে হাথুরু বলেন, “আমরা ড্রেসিংরুমে আলোচনা করেছিলাম তিন ফরম্যাটেই সম্প্রতি শরীফুল আমাদের জন্য অসাধারণ। ৮ মাস আগে সে দলেই ছিল না, কোনো ফরম্যাটেই খেলছিল না। এখন সে সেরা বোলার। আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে রিশাদ, আমরা একজন লেগ স্পিনারকে সাদা বলের ক্রিকেটে সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা করছিলাম। সে তার পরীক্ষায় উতরে গেছে।”  

তবে ঘুরেফিরে আবারো শেষ টি-টোয়েন্টিতে টাইগার ব্যাটারদের ব্যর্থতার প্রসঙ্গ চলেই এসেছে, আবার এসেছে বোলারদের কৃতিত্বের কথাও। লঙ্কান কোচ জানান, “দুই ওভার পরই আলোচনা করছিলাম যে এটা ১৬০ রানের উইকেট হবে না, এখানে ১৪০-১৫০ রানের উইকেট হবে। কিন্তু অবশ্যই আমরা সেটাও অর্জন করতে পারিনি, ভালো ব্যাট করিনি। আমরা ১০ ওভারশেষে ৪ উইকেটে ৮৪ রান ছিলাম, আমাদের রান কম ছিল। কিন্তু বোলাররা আমাদের ম্যাচে রেখেছি। পুরো সিরিজজুড়ে যেভাবে বল করেছি, বেশ মুগ্ধ করার মতো।” 

বোলাররা ভালো করলেও প্রথম ইনিংসে ব্যাটাররা হতাশ করেছেন

ম্যাচ শেষে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও আক্ষেপ করে বলেছেন, “হ্যাঁ (খুব বেশি উইকেট পড়েছে শুরুতে)। টি-টোয়েন্টিতে শুরুটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ব্যাটাররা আজ শুরু করেছে, কিন্তু ১৫ থেকে ১৭ রানের বেশি করতে পারেনি। কিন্তু কেউই ম্যাচটাকে গভীরে নেয়নি। এই ভুলটা আজ আমরা করেছি।” 

সিনিয়ররা দলে নাই, আগের দিনই তাওহীদ হৃদয় বলেছিলেন, এখানে চিরকাল কেউ থাকে না, একসময় থাকবেন না হৃদয়রাও। হাথুরুও শোনালেন, দলের তরুণরা দায়িত্ববান, ড্রেসিংরুমে যোগাযোগ স্পষ্ট, অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও স্পট অন।

“সিনিয়রদের এখানে না থাকার সাথে তাদের অ্যাটিচিউডের কোনো সম্পর্ক নাই। আমার মনে হয় তারা ক্রিকেটটা উপভোগ করতে চেয়েছে। ড্রেসিংরুমের পরিবেশটা বেশ ভালো। কারণ তাদের যোগাযোগটা বেশ স্পষ্ট, যেমন আমি বলেছি শান্তর পক্ষ থেকে। তারা জানে তারা যথেষ্ট ভালো প্লেয়ার প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার জন্য। আমার মনে হয় এজন্য তাদের মনে কোনো ভয় ছিল না।” 

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img