দিনটা আরেকটু বড় হলোনা বলেই হয়তো আফসোস হচ্ছে এখন আবিদ আলী ও আবদুল্লাহ শফিকের। আলোকস্বল্পতায় ১৮ ওভার আগেই দিন শেষ হয়েছে। জয় থেকে ৯৩ রান দূরে থেকে ৫ম দিন শুরু করতে হবে পাকিস্তানের।
তবে যেভাবে বিকালের দেড় সেশন কাটিয়ে দিয়ে দুই ওপেনিং ব্যাটার প্যাভিলিয়নের দিকে বীরবেশে ফিরে যাচ্ছিলেন তাতে তৃপ্তির ছাপই বেশি ছিলো। বাংলাদেশের লিডটিকে নাগালের বাইরে না যেতে দেওয়ার তৃপ্তি, কঠিন হয়ে আসা পিচেও অসাধারণ ব্যাটিং করে দলের জয়কেও সময়ের ব্যাপার বানিয়ে দেওয়ার তৃপ্তি।
২০২ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনিং ব্যাটারের ব্যাটিং নৈপুণ্যে কোন উইকেট না হারিয়েই ১০৯ রান তুলেছে পাকিস্তান। দুজনেই পেরিয়েছেন পঞ্চাশ। আবিদ ৫৬* ও শফিক ৫৩ রানে দিন শেষ করেছেন।
এর আগে সকালের সেশনে মুশফিককে ফিরিয়ে দেওয়ার পর ইয়াসির আলী রাব্বি ও লিটন দাসের জুটি পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের কপালে যথেষ্ট চিন্তার রেখা ফুটিয়ে তুলেছিলো। ইয়াসির যদি মাথায় আঘাত পেয়ে মাঠ ছেড়ে না যেতেন তাহলে হয়তো লাঞ্চের পর ব্যাটিংয়ের জন্য অপেক্ষাকৃত সহজ উইকেট দুজনে বড় জুটিই গড়ে ফেলতেন, বাংলাদেশের লিড নিয়ে যেতেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। তবে ইয়াসিরের ‘কনকাশন সাব’ হিসেবে নামা নুরুল হাসান সোহান অহেতুক শটে উইকেট বিলিয়ে আসার পর পাকিস্তানের কাজটি সহজ হয়ে যায়। লিটন দাস পঞ্চাশ তুলে নিলেও, শেষ তিন উইকেট ফেলতে মাত্র ৪ রান খরচ করতে হয় পাকিস্তানের। শাহীন শাহ আফ্রিদি নেন ৩২ রানে ৫ উইকেট। ১৫৩/৭ থেকে ১৫৭ রানে অলআউট হওয়া বাংলাদেশের লিড ২০১ রানেই থেমে যায়।