পাল্লেকেলে টেস্টের প্রথম দিন থেকেই ছিল ব্যাটসম্যানদের দাপট, যতটা তাদের দৃঢ়তা ততটাই উইকেটের। এই পাঁচদিনে ব্যাটসম্যানদের ভোগাতে পেরেছে কেবল বৃষ্টি আর আলো স্বল্পতা, নয়তো কখনো দাপট ছিল করুনারত্নে আর সিলভার আবার কখনো নাজমুল হোসেন কিংবা মুমিনুল হকের। তবে সেঞ্চুরি আর ডাবল হান্ড্রেডের বাইরে তামিম ইকবালের দুটো ইনিংসই ছিল উপভোগ্য।
ব্যাটিং উইকেটে অন্যরা যেভাবে সময় কাঁটিয়েছেন, তামিম সেসবের চিন্তা করেননি। প্রথম ইনিংসে প্রায় নব্বই স্ট্রাইক রেটে নব্বই, দ্বিতীয় ইনিংসে চাপের মুখে তামিম মনে করিয়ে দিয়েছেন সেই পুরনো কথাই, ‘অ্যাটাক ইজ দ্য বেস্ট ডিফেন্স’। বৃষ্টির কারণে চা বিরতির পর আর খেলা মাঠে গড়ায়নি, তামিম ইকবাল অপরাজিত ছিলেন ৭৪ রানে।
চতুর্থ দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান সিলভা আর করুনারত্নে ফিরেছেন পঞ্চম দিনের শুরুতেই, বাংলাদেশে দলকে জোড়া সাফল্য এনে দিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। সেই সাফল্যে অবশ্য ম্যাচে খুব বেশি পার্থক্য তৈরি হয়নি, শেষে দিকে লঙ্কানরা রান তুলেছে দ্রুত, স্বাগতিকরা ইনিংস ঘোষণা করেছে ৬৪৭ রানে।
১০৭ পিছিয়ে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ সাইফ হাসান দ্বিতীয় ইনিংসেও ছিল নিষ্প্রভ। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া শান্ত আউট হয়েছেন শূন্য রানে। বাকিটা সময় দাপট ছিল তামিম ইকবালের ব্যাটে। দুর্দান্ত সব শট খেলেছে, বোলারদের কোনো সুযোগ দেননি, সঙ্গে ছিলেন মুমিনুল হক।
পাল্লেকেলে টেস্টে বাংলাদেশের প্রাপ্তির জায়গা অবশ্যই ব্যাটিং, উইকেট যতো সাহায্য করুক টেস্টে ভুগতে থাকা বাংলাদেশ দলের জন্য এমন দলগত পারফর্ম্যান্স জোগাবে আত্মবিশ্বাস। ব্যাটিং ছাড়াও তাসকিন আহমেদের বোলিং ছিল প্রশংসা পাবার দাবিদার। শুধু ৩ উইকেট না, নিয়মিত বল করেছেন ১৪০ কিলোমিটার প্রতিঘন্টা গতিতে।