অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সুপার সিক্সের ম্যাচে নেপালকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। নেপালের বিপক্ষে সহজ জয়ে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখল মাহফুজুর রহমান রাব্বির দল। ৩৮ বলে অপরাজিত ৫৯ রানের ইনিংস খেলে জুনিয়র টাইগারদের জয়ের নায়ক আরিফুল ইসলাম।
সেমিফাইনালে খেলতে হলে নেপালের বিপক্ষে রানরেট মাথায় রেখে জিততে হতো বাংলাদেশকে। বোলারদের দারুণ পারফর্ম্যান্সের পর জিসান আলম-আরিফুল ইসলামদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে সেটিই করেছে জুনিয়র টাইগাররা। তাতে করে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে খেলার রেসে ভালভাবে টিকে আছে বাংলাদেশ। পরের ম্যাচে পাকিস্তানের সাথে বড় ব্যবধানে জিতলে সেমিতে খেলবে রাব্বির দল।
টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৯ রানের মধ্যে তিন উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে নেপাল। সেখান থেকে ৬২ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের ভিত এনে দেন দেব খানাল ও বিশাল বিক্রম। দুজনেই ইনিংসের শুরুটা করেছিলেন ভালো। তবে বড় রানের ইনিংস খেলতে পারেননি। অধিনায়ক দেব ফিরেছেন ৩৫ রানে, বিশাল ফিফটি মিসের হতাশা নিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন।
শেষের দিকে নেপালের কেউ ভালো খেলতে পারেননি। তবে চেষ্টা করেছিলেন শুভাস ভান্ডারি। তবে তাকে কেউ সঙ্গ দিতে পারেননি। ৩৪ বলে ১৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন ভান্ডারি।
বাংলাদেশের হয়ে ৮.৫ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেছেন রোহানতউদ্দৌলা বর্ষণ। ৩টি উইকেট নিয়েছেন শেখ পারভেজ জীবন।
ছোট লক্ষ্য তাড়ায় দারুণ শুরু পায় বাংলাদেশ। বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান করেছেন জিসান আলম। তবে আরেক ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলি খেলেছেন দেখেশুনে। ৩৪ বলে ১৬ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। জিসান শুরু থেকেই নেপালের বোলারদের উপর চড়াও হয়ে খেলেছেন। ৩৯ বলে ফিফটির দেখা পেয়ে যান তিনি। শুভাস ভান্ডারির বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে করেছেন ৪৩ বলে ৫৫ রান।
জিসানের এনে দেওয়া ভিত দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছেন আরিফুল। উইকেটে আসার পর থেকেই নেপালের বোলারদের উপর তান্ডব চালিয়েছেন তিনি। ৩৪ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন আরিফুল। শেষ পর্যন্ত ৩৮ বলে ৫৯ রান করে দলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
নেপালের হয়ে ৫টি উইকেট শিকার করেছেন শুভাস ভান্ডারি।