২৭ জুলাই ২০২৪, শনিবার

ইশ সোধির ক্যারিয়ার সেরা বোলিং, প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হার ৬৬ রানে

- Advertisement -

লড়াইটা জমাতে পারলোনা বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১৪৪ রান তুলতে পেরেছে মাহমুদউল্লাহরা। তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল নিউজিল্যান্ড। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে হারিয়েছে ৬৬ রানে। বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে যা একটু লড়াই করেন তিনি হচ্ছেন আফিফ হোসেন। ৩৩ বলে ৪৫ রানে করেন।

ম্যাচে বাংলাদেশের আরেকটা প্রাপ্তি হচ্ছে অভিষিক্ত নাসুম আহমেদের দুই উইকেট। এই দুই জনের অর্জন বাদ দিলে বাকিরা হতাশাই ছড়িয়েছেন।

 

টার্গেটটা ছিল ২১১ রান। রানের পাহাড় টপকাতে হবে, সেই ভয়ে কিনা আগেই হার মানে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে বল হাতে নেন লেগ স্পিনার ইশ সোধি। লেগ স্পিনেই ব্যাটসম্যানরা ভরকে গেলেন। সোধি চতুর্থ বলে ফিরতি ক্যাচ নিয়ে সৌম্য সরকারকে ফেরান। বলটি ছিল স্লাইডার, সৌম্য বুঝতে না পেরে পুশ করেন। ডানদিকে ঝাঁপিয়ে এক হাতে বল ধরেন সোধি। সৌম্য আউট ৬ বলে ৫ রান করে।

মিঠুনের আউটটা আরো অবাক করা। এক বল পরেই, ওভারের শেষ বলটা বুঝতেই পারেননি মিঠুন। গুগলি দিয়েছিলেন, সেই গুগলিতে ফেল মারেন এই ব্যাটসম্যান। বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন সৌম্য থেকে এক রান কম করে।

পরের ওভারেতো আরো ভয়ংকর ইশ সোধি। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগিয়েছিলেন। ওভারের তৃতীয় বল, অফ স্ট্যাম্পের বলকে কাট করতে গিয়ে ব্যাটে লাগে, সেখানে সরাসরি স্ট্যাম্পে। বাংলাদেশ অধিনায়ক কিছুক্ষণ অবাক ভঙ্গিতে তাকিয়ে থাকেন। ১১ রান করে মাঠ ছাড়েন।

পরের বলটা আবারও গুগলি, ভাসিয়ে দেয়া বলকে ডিফেন্স করার চেষ্টা করেছিলেন মাহেদী হাসান। ততক্ষণে স্ট্যাম্পে গিয়ে বল আঘাত করে। ‘গোল্ডেন ডাকে’ মাঠ ছাড়েন মাহেদী। বাংলাদেশ তখন ৬ উইকেটে ৫৯ রান।

বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের শুরুটাতে নিজেকে সাবলিল রেখেছিলেন ওপেনার নাঈম শেখ। কিন্তু লিটন দাসকে যেন ওয়ানডের ভূত তাড়া করছে এখনো। নাঈম শেখের সঙ্গে মানিয়ে নিতে ব্যর্থ হন। সাউদিকে চার মেরে রানের খাতা খুলেছিলেন। কিন্তু ওই বাউন্ডারিতেই শেষ। পরের বলেই আউট হন সোধির হাতে ক্যাচ দিয়ে।

উড়ন্ত সূচনা পেয়েছিলেন ওপেনার নাঈম। কিন্তু ৫ ওভারে শেষ হয় আশা জাগানো ব্যাটিং। ফাগুসনের প্রথম বলে চার মেরে বোলারকে ভরকে দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন। পরের বলে ফার্গুসনও চাতুরতা দেখিয়েছিন। বলটা ছাড়েন বেশ গতিতে, নাঈম চেষ্টা করেছিলেন ফ্লিক করতে কিন্তু ব্যাটে না লেগে বল লাগে পায়ে। ১৮ বলে ২৭ রান করে মাঠ ছাড়তে হয়।

শংকা জেগেছিল শতরানের আগেই অলআউট হওয়ার। কিন্তু আফিফ-সাইফুদ্দিন মান বাঁচান। এই জুটি থেকে আসে ৬৩ রান। আফিফ জীবন পেয়েছিলেন শুরুতে, সেখান থেকে ৪৫ রানের ইনিংসটি সাজান ৫টি চারে। আফিফকে বোল্ড করেন ফার্গুসন। শেষদিকে সাইফুদ্দিনের ৩৪ রানের ইনিংস বাংলাদেশের পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়েছে।

তার আগে নিউজিল্যান্ড ব্যাটিংয়ে নেমে পাওয়ার প্লেতে রান তুলে ধীরগতিতে। বাংলাদেশের স্পিনার নাসুম আহমেদ অভিষেকটা রাঙিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। ৫৩ রানের মধ্যে মার্টিন গাপটিল এবং ফিন অ্যালেনকে ক্রিজ ছাড়া করেন নাসুম। কিন্তু পরের জুটি আরো বিধ্বংসী ব্যাটিং করেছেন। ১০৫ রান যোগ করেন কনওয়ে এবং উইল ইয়াং। অভিষেকে হাফ সেঞ্চুরি ইয়াংয়ের। কনওয়ের মারমুখী ব্যাটিংয়ে ৯২ রান। ৩ ছক্কা ও ১১ চারে ইনিংস সাজান। এই জুটির পার্টনারশিপেই বাংলাদেশ মূলত ম্যাচ থেকেই হারিয়ে যায়।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

নিউজিল্যান্ড ২১০/৩ ( কনওয়ে ৯২*, ইয়ং ৫৩, গ্লেন ফিলিপস ২৪) নাসুম ২/৩০

বাংলাদেশ ১৪৪/৮ ( আফিফ ৪৫, সাইফুদ্দিন ৩৪, নাঈম ২৭) সোধি ৪/২৮

ফলাফল: নিউজিল্যান্ড ৬৬ রানে জয়ী 

 

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img